জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নও মাস দেশের তনকে যুদ্ধ করিছু। যুদ্ধে যাওয়ার আগে ইন্ডিয়াত টেনিং করিছু কিন্তক আগের কোন সরকার মোক মুক্তিযোদ্ধার সনমান দেইনি, ভাতাও দেয়নি। যুদ্ধের ৪৯ বছর পরে শেখে বেটি হাসিনা মোক মুক্তিযোদ্ধার সনমান দিচে এবং ভাতাও দে”ে। মুই এখন মুক্তিযোদ্ধা। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার দোঘড়া গ্রামের নতুন তালিকাভুক্ত আদিবাসি বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী বানো পাহান এমন কথাগুলো বলেন। তাঁর ছেলেমেয়ে ও নাতিপুতিরা সরকারের অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবে এবং সরকার তাঁকে অনেক সহযোগিতা করবে এসব জেনে তাঁর পরিবারের সবাই মহাখুশী।
চলতি বছরের মে মাসে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৬৬-তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেসামরিক গেজেটে শ্রী বানো পাহান সহ উপজেলায় মোট ৬ জন নতুন মুক্তিযোদ্ধার নাম আসে। অন্যরা হলেন উপজেলার খাসবাগুড়ীর আলতাফ হোসেন, ধরঞ্জীর আবুল হোসেন, ছাতীনালীর আবদুর রউফ আকন্দ, সুলতানপুরের মৃত আঃ সামাদ ও উচনা সীমান্তের সফিজ উদ্দিন মন্ডল। এদের অনেকের সঙ্গেই কথা বলে জানা গেছে, ইতোমধ্যে সবাই ২ মাসের সম্মানি ভাতা বাবদ ৩৪ হাজার টাকা পেয়েছেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব মোঃ মিছির উদ্দিন মন্ডল বলেন, ভারতে ১ মাস যুদ্ধের ট্রেনিং শেষে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বানো পাহান আমার সঙ্গে থেকেই স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিল। নতুন ৬ জন সহ উপজেলায় মোট ১৬৪ জন সম্মানি ভাতার কার্ডধারী মুক্তিযোদ্ধা হলেন বলেও কমান্ডার জানান।