ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বেগম কাজী জেবুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান কতৃক ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে সদরপুর থানা পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করে। জানা গেছে নরপশু মিজানুর রহমানের বাসায় প্রাইভেট পড়তেন ঐ শিক্ষার্থী। প্রাইভেট পড়ানোর সময় বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ও ভালোবাসার জ্বালে ফেলে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত করে শিক্ষার্থীকে। শিক্ষক মিজানুর রহমান অসামাজিক কার্যকলাপের নগ্ন ছবি তার মোবাইলে ধারন করে পুঁজি বানিয়ে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ দৈহিক সম্পর্ক করে আসছিলো। গত শনিবার উপজেলার বাইশরশি জমিদার বাড়ির পরিত্যক্ত ভবনের ছাদে নিয়ে ধর্ষন করে। ধর্ষনের এক পর্যায় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে গেলে ওই শিক্ষার্থীকে একা রেখে নরপশু মিজান পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি অবিভাবকরা জানতে পারে। বিষয়টিকে স্থানীয় ভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। পরে ঘটনাটি ধামা-চাপা না দিতে পারায় গত সোমবার রাতে শিক্ষার্থীর পিতা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সদরপুর থানায় নারী ও শিশু আইনে মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় সদরপর থানা পুলিশ ওই শিক্ষককে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করে। ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তার নিকট প্রাইভেট না পড়লে তাকে পরিক্ষায় ফেল করানোর হুমকি দিয়ে একধিক শিক্ষাথীদের সাথে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাট করে আসছিল। সম্প্রতি বিষয়টি সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূরবী গোলদার জানতে পারলে ঐ শিক্ষকে সতর্ক করে দেন।
এব্যাপারে সদরপুর থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ সৈয়দ লুৎফর রহমান বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের নামে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে বলে আমি জানতে পারি কিন্তু তার বিরুদ্ধে লিখিত কোন অভিযোগ না পাওয়ায় আইনগত ব্যাবস্থা নিতে পারিনি। তবে বর্তমানে ধর্ষিতা শিক্ষার্থীর পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আমারা গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছি। ধর্ষিতার পিতাসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অবিভাবক ও সচেতন মহল লম্বট শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায়।