আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের হরিষখালীতে পাউবোর ভেড়ী বাঁধ সুপার সাইক্লোন আম্ফানের তান্ডবে ভেঙ্গে যাওয়ার ৫৩ দির পর বাঁধা সম্ভব হলেও টিকিয়ে রাখা গেল না। বাঁধের চাপান শেষ করে শ্রমিকরা বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যে জোযারের পানির চাপে চাপান ভেসে গেছে। ফলে দুর্ভাগা প্রতাপনগরবাসী আবারও খোলপেটুয়া নদীর জোয়ার ভাটার সাথে একাকার হয়ে গেল।
২২ জুন হরিষখালী নামক স্থানে পাাউবোর ভেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। সেই থেকে গত ৫৩ দিন এলাকার মানুষ চরম দুর্দশার মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে। ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের নেতৃত্বে এলাকার হাজার হাজার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কাজ করে ১৩ জুলাই বাধের ক্লোজারে চাপানের হাজ শেষ করেন। এতে প্রতাপনগরের একটি অংশ জোয়ার ভাঁটা মুক্ত করা সম্ভব হলো ভেবে মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস ভাঙ্গন আটকানোর পর লক্ষ্য করা গিয়েছিল, জোয়ারের চাপে বাঁধটি হালকা ভিতরে চেপে গেছে। অবস্থা দৃষ্টিতে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ মনে হওয়ায় জেনারেটরের আলো জ্বালিয়ে কিছু শ্রমিক কাজে নিয়োজিত রাখা হয়। কিন্তু না সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে পুনরায় বাঁধটি ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োগকৃত সলিউশন ফোর্স্ট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার কামরুজ্জামান সোহাগ বলেন, গেলো সোমবার আমি বাঁধ চাপান দিতে চায়নি। ক্লোজার-এর কাজ পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার আমি বাঁধ চাপান দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। গত সোমবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বাঁধ সংস্কার নির্মাণকাজ পরিদর্শনে আসেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন উপস্থিত হন। তাদের সিদ্ধান্ত মত চাপান কাজ সম্পন্ন করা হয়। বাঁধ চাপান দিয়ে পানি আটকানোর পর আমি অনেক শ্রমিক মজুরি দিয়ে জেনারেটর মাধ্যমে রাতেও কাজ চালিয়ে বাঁধ আটকাতে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করি কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।