সুনামগঞ্জে নদীর পানি হাওরে যাওয়ায় জেলার সকল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তা থেকে পানি নামলেও বাসাবাড়ীতে মানুষ পানি বন্দি আছেন। শহরের কিছু আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও হাওরের গ্রামগুলোতে চলছে হাহাকার। এখনো কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী। মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ঘরে পানি প্রবেশ করে চুলা তলিয়ে যাওয়ায় রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না।
হাওরের আশ্রয়কেন্দ্রে যারা আশ্রয় নিয়েছেন বা গ্রামে নিজের বাড়ীতে পানিবন্দী জীবন যাপন করছেন কারো ভাগ্যেই সরকারী বা বে-সরকারী কোন ত্রাণ সহযোগিতা মিলেনি। হাওরপাড়ের গ্রামগুলো তে স্পিড বোট বা ইঞ্জিন চালিত নৌকার আওয়াজ শুনলেই লোকজন ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসে ত্রাণের আশায়।
আনোয়ার বেওয়া রাগ করে বলেন, ভোটের সময় সালাম দেওয়ার লাগি কত জন আইন। অকন বন্যা চলে কেউতো আইলানা। তারা এখন কোয়াই।
দিরাই উপজেলার কাইমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ আলী ও পঞ্চগ্রাম কাইমা মাদ্রাসায় আশ্রয় নেওয়া আবদুল লতিফ জানান, আমরা সমস্যায় আছি এখন পর্যন্ত কোন জনপ্রতিনিধি বা সরকারী কেউ খবর নেননি। ত্রাণ পাবোতো দূরের কথা।
চরনার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রতন তালুকদার জানান আমি বন্যার্ত মানুষের পাশে আছি। সরকারী যে সহযোগিতা আছে তা বিতরণ করছি। এ মুহুর্তে বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে মানুষের সেবায়।
জেলা প্রশাসক মো. আবদুল আহাদ জানান, জেলা প্রশাসনে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মওজুদ আছে, ইউএনও, পৌর মেয়র, ও ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে তা বিতরণ চলছে।