কদিন পরই কোরবানির ঈদ। এই ঈদের উৎসব যেন আসে আগে ভাগেই। অনেকের চিন্তাভাবনা প্রস্তুতি থাকে কোরবানির পশু কেনাকে ঘিরে। পরিবারের সব সদস্যকে দেখিয়েই কিনতে পারবেন এবারের কোরবানির পশুটি! এবার বগুড়ার নন্দীগ্রামে ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইনে ১টি পশুর হাট চালু করেছে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলা হলেও পশুর হাটে তা প্রায় অসম্ভব। তাই ব্যস্ত ও জনবহুল জায়গাতে ক্রেতারা পশু কিনতে আসবেন কি না সে বিষয়েও অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। খামারি ও ক্রেতাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য ডিজিটাল হাটের ব্যবস্থা করেছে। উপজেলা প্রাণি স¤পদ দপ্তর, নন্দীগ্রাম,বগুড়া ‘পশুরহাট’ নামে একটি অনলাইন পেজ খুলে এই হাট চালু করেছে। এই অনলাইন পেজে গরু-মহিষ-ছাগল পালনকারিদের পশুর ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর আশাবাদী এই অনলাইন গরুর হাটে ব্যাপক সারা পাওয়া যাবে।
এই হাটে ক্রেতারা ঘরে বসেই গরুর ছবি দেখাসহ ওজন জানার সুযোগ পাবেন। এরপর নির্দিষ্ট স্থান থেকে অথবা হোম ডেলিভারির ভিত্তিতে টাকার বিনিময়ে গরু সংগ্রহ করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পশুর ছবি এবং অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে। এই সকল ছবি ও তথ্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস তার নিজ খরচে প্রচার করছে। ফলে ক্রেতারা সহজেই তাদের কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় পশু পছন্দের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে ডেলিভারি নিতে পারবেন। উপজেলা প্রাণি স¤পদ অফিস জানায়, নন্দীগ্রাম উপজেলায় গরু, মহিষ ও ছাগল রয়েছে ২২ হাজার ২৭২। আর উপজেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ১৮ হাজার। চাহিদা মিটিয়েও ৪ হাজারের বেশি গরু-ছাগল উদ্বৃত্ত থাকবে। খামারী এবং গরু পালনকারির সংখ্যা হচ্ছে ২ হাজার।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. অরুণাংশু মন্ডল বলেন, করোনা দুর্যোগে অনলাইন পশুর হাট খামারীদের পশুর ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির পাশাপশি করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিও কমাবে। অনলাইন পশুর হাটের সফলতার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আশাকরি অনলাইন হাটের মাধ্যমের অনেকই কোরবানির পশু কিনবেন।