শেষ পর্যন্ত রাজস্থানের (জধলধংঃযধহ) উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সচিন পায়লটকে (ঝধপযরহ চরষড়ঃ)। একই সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। সচিনের পাশাপাশি আরও দুই মন্ত্রীকে রাজ্য মন্ত্রীসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন বিশ্বেন্দ্র সিংহ ও রমেশ মিনা। এই তিন মন্ত্রীকে মন্ত্রীসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রকে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। সচিন পায়লটের জায়গায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হয়েছে গোবিন্দ সিংহ দোতাসরাকে। মঙ্গলবার সকালে জয়পুরে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের যে দ্বিতীয় সভা বসে তাতেও গরহাজির থাকেন সচিন পায়লট ও তাঁর অনুগামীরা। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত হয়। সচিনের প্রতিক্রিয়া শেষ কয়েক দিন ধরেই সচিন এবং অশোক শিবিরের দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করে। বিশেষত, গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের সংবাদিক বৈঠকের পর দল ভাঙানোর অভিযোগ নিয়ে বিশেষ তদন্তের ঘটনা অন্য মাত্রা যোগ করে। গত রোববার নিজের অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে সচিনের দিল্লির যাওয়ার ঘটনায় তাঁর দল ছাড়ার ইঙ্গিত আরও জোরালো হয়। এ দিন কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর সচিন টুইটারে লিখেছেন, “সত্যকে হয়রানি করা যায়, তবে হারিয়ে দেওয়া যায় না”। বিধানসভায় কংগ্রেসের বর্তমান অবস্থান ২০০ সদস্যের রাজস্থান বিধানসভায় এখন কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা একশোর বেশি (নির্দল-সহ)। এর আগে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ছিল ১০৭, অন্য দিকে সমর্থন ছিল ১৩ নির্দল বিধায়কের। কিন্তু বর্তমানে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৯০-এ নেমে এসেছে, অন্য দিকে সমর্থনকারী নির্দল বিধায়কের সংখ্যা কমে হয়েছে সাত। তবে গত সোমবার সন্ধ্যায় ১০২ জন বিধায়ককে রিসর্টে রেখেছে কংগ্রেস। যা রাজ্যের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ম্যাজিক ফিগারের থেকে সামান্য হলেও বেশি।