কিশোরগঞ্জে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষণার্থীদের ভর্তিন ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে গত ২৫ জুন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) মাসুদা আকন্দ স্বাক্ষরিত প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সারা দেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন ট্রেডে যুবক ও যুব নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের নিমিত্ত দক্ষতাবৃদ্ধিমুলক প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মী সৃজনের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রশিক্ষণে ভর্তির জন্য ৮ জুলাইয়ের মধ্যে স্ব-স্ব উপজেলায় দরখাস্ত আহবান করে। সে অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার শতাধিক যুবক ও যুব নারী ‘গবাদী পশু হাঁস-মুরগী পালন, প্রাথমিক চিকিৎসা ও কৃষি বিষয়ক’ তিন মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্সে আবেদন করলে গত ৯ জুলাই তাদের মনোনয়নে স্বাক্ষাতের জন্য সদর উপজেলার যুব উন্নয়ন কার্যালয়ে নির্বাচন বোর্ডে হাজির হলে ১৬ জনকে চূড়ান্তভাবে বাঁচাই করে উত্তীর্ণ করা হয়। বুধবার (১৫ জুলাই) সদরের নির্বাচিত প্রশিক্ষণার্থীদের তালিকা হতে নির্বাচনী বোর্ড ৯জনকে ভর্তি সম্পন্ন করে। এ ছাড়া স্বজন প্রীতি করে ১৬ জনের তালিকা বহির্ভূত আরও তিনজনসহ মোট ১২জনকে ভর্তি নেন। সদরের বাচাই করা নির্বাচিত ১৬জনের মধ্যে তিনজনকে না নিয়ে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডেপুটি কোঅর্ডিনেটর সে তালিকা বহির্ভূত স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতামুলকভাবে অতিরিক্ত ৩জনকে ভর্তি নেওয়ায় নির্বাচিত প্রশিক্ষণার্থীরা প্রতিবাদ করলে কোন আমলেই নেননি বলে জানা গেছে।
সদরের ১৬ জনের নির্বাচিত তালিকার ১২ নাম্বার প্রশিক্ষণার্থী জেলা সদরের বাসিন্দা এমদাদুল হক বলেন, সকাল থেকে যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তির জন্য অপেক্ষা করা হলে বিকেলে জানতে পারলাম আমার ১২সিরিয়ালে আরেকজন ভর্তি হয়েছেন যিনি কীনা আমাদের সাথে ৯ জুলাইয়ের নির্বাচিত স্বাক্ষাৎকারে অংশই নেননি। ভর্তি বঞ্চিত প্রার্থীরা বলেন, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যালয় থেকে ১৬ জনের মনোনীত তালিকা উপেক্ষা করে অন্যদেরকে ভর্তি করা ঠিক হয়নি। এভাবেই ভর্তি করা হবে তাহলে কেন আমাদের স্বাক্ষাতকার নেওয়া হলো।
এ বিষয়টি জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, কোন প্রশিক্ষণার্থীর ভর্তি করার বিষয়টি আমার দায়িত্ব নয় তা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বশীলদের কাজ।
যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডেপুটি কো-অর্র্ডিনেটর তানিয়া জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সদরের ৫জনকে ভর্তি নেওয়ার কথা থাকলেও সার্বিক বিবেচনায় ৯জনকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। অপর তিনজনকে নিয়ম অনুযায়ীই ভর্তিসহ জেলায় মোট ৬০জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এতে কোন অনিয়ম হয়নি বা তালিকা বহির্ভূত কাউকেও ভর্তি করা হয়নি।
কিশোরগঞ্জ সদন উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এ জেড শাহাদাৎ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে ৫জনের ভর্তি করার কোন চিঠি আসেনি। গত ৯ জুলাই অনুষ্ঠেয় শতাধিক যুবক ও যুব নারীদের প্রশিক্ষণের জন্য স্বাক্ষাতকারের মাধ্যমে ১৬জনকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সদরের কাউকে ভর্তি করা হলে সে তালিকা অনুযায়ীই নেওয়া দরকার। তালিকা বহির্ভূত কেউ ভর্তি হয়েছে কীনা সেটা আমার জানা নেই।