বর্ষার পানির তোড়ে গত সপ্তাহ ধরে সরাইল-অরূয়াইল সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন শুরূ হয়েছে। বিশেষ করে ভূঁইশ্বর এলাকায় গত সোমবার সড়কের একাংশে ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল। অসহায় হয়ে পড়েছিল পথচারী ও যানবাহনের চালকরা। মিডিয়ার বদৌলতে জেনে নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মুসা স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহায়তায় সোমবার রাতেই সড়ক রক্ষার ব্যবস্থা করেন। আর গত ৩ দিন স্থানীয় এলজিইডি’র কোন তৎপরতা না থাকলেও বৃহস্পতিবার সকালে ওই সড়কে উপস্থিত হয়েছেন জেলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম। ভাঙ্গন রোধে কয়েক শত বস্তা বালি, দুই ট্রাক মাটি ফেলেছেন তারা। সেই সাথে ঢেউয়ের আঘাত থেকে রক্ষার জন্য বাঁশ দিয়ে বাঁধ ও দিয়েছেন। সড়কের অন্যান্য স্থানের ভাঙ্গন গুলোও পরিদর্শন করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নিলুফা ইয়াছমীন। নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, সড়কটি আগেও সংস্কার করা হয়েছিল। বর্ষার পানির তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন লোকজন ও যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। প্রসঙ্গত: সড়কটি ভেঙ্গে হাওরে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এ বিষয়ে গত ১১ জুলাই শনিবার অনলাইর পোর্টাল এফএনএস-এ “কাজে আসেনি ১১ কোটি টাকার সংস্কার, বিচ্ছিন্নের পথে সরাইল-অরূয়াইল সড়ক যোগাযোগ” শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন ও প্রকাশিত হয়েছিল। আবার গত ১২ জুলাই রোববার একই অনলাইনে “ ঘুমিয়ে আছেন এলজিইডি অফিস, সড়ক রক্ষায় মাঠে ইউএনও” শিরোনামে আরেকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এরপরও স্থানীয় এলজিইডি কোন ব্যবস্থা নিচ্ছিলেন না। তখন টেনশনে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন সড়কে চলাচলকারী লোকজন।