শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফের দাবিতে মহানগরীতে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী রাজশাহী জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেন নেতৃবৃন্দ। এর আগে শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফের দাবিতে রাজশাহী কোর্ট শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন করেন নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফ, বিনামূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট প্যাকেজ প্রদান এবং স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার কেনার জন্য সহজ শর্তে সুদমুক্ত ব্যাংক লোন প্রদানে সরকারি প্রজ্ঞাপনেরও দাবি জানান সংগঠনটি।
রাজশাহী মহানগর ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি এএইচএম জুয়েল খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, সম্পাদকম-লীর সদস্য অ্যাড. এন্তাজুল হক বাবু, আবদুল মতিন, ছাত্রমৈত্রীর রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম মনি, যুগ্ন আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান হাফিজ, মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি আরাফাত এইচ মারুফ, সাকিবুল হাসান সাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ওহিদুর রহমান ওহি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সমগ্র দেশকে স্থবির করে দিয়েছে। করোনাকালীন সময়ে দেশের প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বাভাবিক আয় তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। ইতোমধ্যে অসংখ্য মানুষ পেশা হারিয়েছে। দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই হিমসিম খাচ্ছে তাদের পরিবারের খরচ চালাতে। আর পরিবারের অর্থনৈতিক মন্দার পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে শিক্ষার্থীদের ওপর।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, শিক্ষার্থীরা শিক্ষার তাগিদেই এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব ছাত্রাবাস বা ছাত্রীনিবাস না থাকায় ভাড়া থাকতে হয়। আর কোন প্রতিষ্ঠানের আবাসন ব্যবস্থা থাকলেও আসন সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বাসায় মেস করে ভাড়া থাকতে হয়। এসব শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই আসে প্রত্যন্ত অঞ্চল ও দরিদ্র পরিবার থেকে। এসব দরিদ্র শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ টিউশনি করিয়েই তাদের পড়ালেখা ও থাকাণ্ডখাওয়ার খরচ বহন করে। আর করোনাকালীন সময়ে তাদের সেই টিউশনিও বন্ধ রয়েছে।