রাজশাহীর বাগমারায় দ্বীপপুর ইউনিয়নের জুলাতলা বাঁধ ভেঙ্গে ২৫টি গ্রাম নতুন ভাবে প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে উজানের বন্যার পানি চাপে বাঁধটি ভেঙ্গে যায় বলে এলাকার লোকজন জানান। খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদসহ উপজেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গত দুই দনি পূর্বে মান্দার টেংরা নামক স্থানের বাঁধটি কেটে দেয়ার কারণে রাজশাহীর মোহনপুর,বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। টেংরার বাঁধটি কেটে দেয়ার ফলে রাজশাহীর বারানই ও ফকিরণী নদীর পপানি বিপদ সীমার দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়াও বাগমারা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। বারানই ও ফকিরণী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলো ঝুঁকির মুখে পড়ে। বন্যার পানির চাপে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার দ্বীপপুর ইউনিয়নের জুলাতলা বাঁধটি ভেঙ্গে একই ইউনিয়নের ২৫ টির বেশী গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়। পানি বন্দী হয়ে পড়ে ইউনিয়নের ২৫ টি গ্রামের সাধারন মানুষ। ক্ষতি হয় বিভিন্ন ধরনের ফসল, ঘরবাড়ি, পুকুরের মাছ। কবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনের খোঁজ খবর নেন।
দ্ভীপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান দুলাল জানান, বন্যায় তার ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষতি স্বাধন হয়েছে। মানুষের ঘরবাড়িতে পানি ঢোকে পড়ায় কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলটি উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের আরো কয়েকটি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। জুলাতলা বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে উজানের গোবিন্দপাড়া, নরদাশ, সোনাডাঙ্গাসহ কয়েকটি ইউনিয়নের পানি কমতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। রাতের মধ্যে উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নসহ নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিভিণœ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হবে বলে এলাকার লোকজন ধারনা করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ জানান, উজানের পানি নেমে আসায় বাগমারায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বন্যার সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।