বগুড়ায় দ্বিতীয় দফা বন্যার পানি যমুনা নদীতে ১২৭ সেন্টিমিটারে স্থির রয়েছে। গত বছরে যমুনা নদীতে পানি সর্বোচ্চ ১২৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত প্রবাহিত হয়। বাঙ্গালী নদীর পানি আরও ২ সেন্টিমিটার বেড়েছে। তবে এখনও বিপদসীমায় আসেনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬ টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিছুদিন পর পানি বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়ে কমতে শুরু করলেও দ্বিতীয় দফায় গত শুক্রবার থেকে পানি আবার বাড়তে শুরু করে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারি প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, মাসের শুরুতে যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে পানি কমছিল। কিন্তু এখন আবার পানির উচ্চতা বাড়ছে। যমুনার পানি এখন বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, যমুনা নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ১৭ দশমিক ৯৭ মিটার উচ্চতায় রয়েছে। এ হিসেবে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল থেকেই এই উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
আর বাঙ্গালী নদীতে বিপদ সীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫৩ মিটার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় পর্যন্ত নদীতে পানি প্রবাহিত হয় ১৫ দশমিক ৬২ মিটার উপর দিয়ে। এ নদীতে পানির উচ্চতা বিপদসীমার ২৩ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।
জেলা পাউবো সূত্রে জানা যায়, আম্পানের পরবর্তী সময়ে অতিবৃষ্টি দেখা দেয়। এ বৃষ্টির ফলে উজানের দিক থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি নামতে থাকে। এতে যমুনা পরবর্তীতে বাঙ্গালী নদীতে বন্যা দেখা দেয়।
সূত্রটি আরও জানায়, যমুনার ঢলে সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি, হাটশেরপুর, কাজলা, কর্নিবাড়ি, বোহাইল, চন্দনবাইশা, কামালপুর, কুতুবপুর ইউনিয়ন। তলিয়ে গেছে পাট, আউশ ধানসহ বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেত। কৃষকের ক্ষেতের অপরিপক্ক পাট গাছ কাটতে শুরু করেছেন। এ ছাড়া চর এলাকার কিছুকিছু বাড়ি ঘরে পানি উঠতে শুরু করেছে।