শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ-রুটে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকেই ফেরী চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ নৌ-রুটের শিমুলিয়া ঘাটে আটকা পড়েছে প্রায় দুহাজার যানবাহন। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও পলি জমে পদ্মায় প্রচন্ড স্রােত ও নাব্যতা সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পন্যবাহী ট্রাক, কাভারভ্যানসহ পচনশীল পণ্যের ট্রাক ৮ শতাধিক পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে অনেকেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। ফেরী বন্ধ থাকায় ঘাটে এসে পরেছেন যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানাযায় গেলো দু-রাত থেকে এ নৌ-রুটে দূর্ঘটনা এড়াতে রাতের বেলায় ফেরী চলাচল সম্পূর্ন বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে দিনের বেলায় বেশ কিছু ফেরী চলাচল করলেও শুক্রবার সকালে লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রোরো ফেরী শাহ-মকদুম ও কেটাইপ ফেরী ক্যামেলিয়া যানবাহনসহ কাঠালবাড়ীর উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়। ফেরী দুটো স্রােতের কারণে চাঁদপুরের দিকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। গতকাল বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ফেরী দুটি ঘাটে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।
এদিকে এ নৌ-রুটের রোরো, কেটাইপ, ডাম্প ফেরী, মাঝারী ও ছোটসহ ১৩ টি ফেরী নিয়মিতভাবে চলাচল করলেও শুক্রবার সকাল থেকেই সবগুলো ফেরীই বন্ধ রাখে বিআইডব্লিউটিসি কতৃপক্ষ। এ রুটে যাত্রীদের চলাচলের জন্য ৮৭টি লঞ্চ ও তিন শতাধিক স্পীডআেট চলাচল করছে। ফেরী বন্ধ থাকায় এ নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন চালকেরা পরেছে চরম দুর্ভোগে। আবার কেউ মোটর বাইক নিয়ে প্রচন্ড স্্েরাত ও উত্তাল পদ্মা জীবনের ঝুকি নিয়ে পারি দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের টিআই হিলাল উদ্দিন জানান, পন্যবাহী ট্রাকের লাইন ঘাট এলাকা ছাড়িয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে কুমারভোগ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁচেছে। তবে ঘাটে আটকে পড়া যাত্রী ও যানবাহন চালকদের নিরাপত্বার স্বার্থে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি উপ-সহকারি ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত হোসেন জানান, নদীতে প্রবল কারেন্ট থাকায় ফেরী চলাচল গত কয়েকদিন যাবৎ ব্যহত হচ্ছে। ২ দিন ধরে স্্েরাতের চাপ আরো বেড়ে যাওয়ায়। ফেরী গুলো চ্যানেলের মুখে প্রবেশ করতে পারছে না। শুক্রবার সকালে একটি ফেরী স্্েরাতের চাপে কয়েক কি. মি. দুরে চলে গেছে ট্যাগ জাহাজ দিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আরো একটি ফেরী ফিরে এসেছে। চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি ও টিএ ঊর্ধ্বতন মিটিং এ বসেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে ফেরী ছাড়া সম্ভব নয়।