অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে বগুড়ার শেরপুরের তাপস কুমার মোহন্ত ওরফে মনো (৪২) নামের এক চাল ব্যবসায়ী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ জুলাই শুক্রবার সকালে শজিমেকে মারা যায়। তবে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা তাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে শাহজাহানপুরের জাহাঙ্গীরাবাদ এলাকায় রাস্তায় ফেলে দিয়ে তার কাছে থাকা প্রায় ১৮ লাখ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে বলে মৃত ব্যবসায়ীর পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সুত্রাপুর(কালিতলা) গ্রামের শম্ভু মোহন্তের ছেলে তাপস কুমার মোহন্ত ওরফে মনো চাল কেনার জন্য প্রায় ১৮ লাখ টাকা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধা জেলার মহিমাগঞ্জ উপজেলায় যান। চাল পছন্দ না হওয়ায় মনো ওই দিন সন্ধ্যায় বাসে করে বাড়ি ফিরছিল। বাসের ভিতরে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে তাকে কোমল পানিয় কোকের ভিতরে নেশা জাতিয় দ্রব্য খাইয়ে দেয়। এতে সে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে মনো কাছে থাকা প্রায় ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাকে শাহজাহানপুর উপজেলার জাহাঙ্গীরাবাদ এলাকায় রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে যায়। পরে শাহজাহানপুর থানার এসআই রাজু কামাল খবর পেয়ে ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়ার জাহাঙ্গীরাবাদ সেনা ক্যাম্প এলাকায় রাস্তার পাশে পড়া থাকা ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় (১৭ জুলাই)শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সে মারা যান।
নিহতের কাকা বিমল মোহন্ত জানান, তাপস মোহন্ত একজন চাল ব্যবসায়ী। ব্যবসার খাতিরে গত ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে চাল কেনার জন্য বাড়ি থেকে প্রায় ১৮ লাখ টাকা নিয়ে গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে যায়। সেখানে চাল কিনতে না পারায় বাসে বাড়ির দিকে ফিরছিল। ধারণা হচ্ছে বাসেই মধ্যেই তাপসকে কোমলপানীয় দ্রব্যের মধ্যে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করে রাস্তায় ফেলে দিয়ে যায়। এদিকে রাতে সে বাড়িতে না ফেরায় চিন্তার মধ্যে পড়ে যায় পরিবারের লোকজন।
এ ব্যাপারে বগুড়ার কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আজিজ মন্ডল নিশ্চিত করে বলেন, শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই ব্যবসায়ী তাপস মারা যায়। তবে নিহত ব্যবসায়ীকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়েই অজ্ঞান করা হয়েছিল বলে ধারনা করা হচ্ছে।