সামজিক দুরত্ত্ব মানা হচ্ছেনা, ব্যবহার হচ্ছেনা মাস্ক, বেড়েই চলেছে করোনা রোগী। লালপুর উপজেলায় গত ৭৬ দিনের মাথায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তাসহ আরো ৪জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর জানা গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮শ ৫২টি নমুনা পরীক্ষায় ৫০জন শনাক্ত হয়েছে।
লালপুর হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, শনিবার (১৮ জুলাই-২০২০) সন্ধ্যা রাতে ই-মেইল বার্তায় নতুন করে আরো ৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পজেটিভের খবর জানানো হয়। তাদের মধ্যে মাদারীপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মরত লালপুরের ডেবরপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তি, লালপুর উপজেলার কাঠালবাড়ীয়া গ্রামের একজন টেইলার্স মাষ্টার, মোহরকয়া গ্রামের একজন চাকুরীজীবী, অর্জুনপুর গ্রামের একজন কৃষক রয়েছে। এনিয়ে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৮শ ৫২টি নমুনা পরীক্ষায় লালপুর হাসপাতালের ৮জন স্টাফ, লালপুর থানার ২জন পুলিশ সদস্য, ১জন শিশুসহ মোট ৫০জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়াও লালপুর উপজেলার বাহিরে অন্যান্য উপজেলায় নমুনা পরীক্ষায় আরো ৭জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে লালপুর উপজেলায় মোট ৫৭জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৩ জন পুরুষ, ৪ নারী।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আমিনুল ইসলাম অক্রান্তের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এপর্যন্ত লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮শ ৫২টি নমুনা পরীক্ষায় ৭শ৮৮টি ফলাফল পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ডাক্তারসহ ৮জন মেডিকেল স্টাফ, ২জন পুলিশ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, মৎস কর্মকর্তা, ১জন শিশুসহ ৫০জনের করোনা পজেটিভ এবং ৭ শ৩৮ টি নেগেটিভ এসেছে। ১৮ জুলাই পর্যন্ত এখনো ৬৪টির ফলাফল আসেনি। ৫০ জন করোনা পজেটিভ রোগীর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩০ জন। বাঁকি ২০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। লালপুর উপজেলার বাহিরে অন্যান্য উপজেলায় নমুনা পরীক্ষায় আরো ৭জন সহ লালপুর উপজেলায় মোট ৫৭জন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে। আবার লালপুরে নমুনা পরীক্ষায় লালপুর উপজেলার বাহিরের ৫জনের পজেটিভ।
উল্লেখ্য- গত ০৪ মে-২০২০ সোমবার লালপুর উপজেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেলিমেডিসিনের সাপটিংপার্সন। ইতোমধ্যে তিনি সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। গত ২ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি, আক্রান্তের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আক্রান্ত ব্যাক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখাসহ তাদের বাড়ি লকডাউন ও আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে যারা ছিলো তাদের নমুনা সংগ্রহ করে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। ডাক্তার ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের চিকিৎসা সেবাসহ প্রয়োজনীয় সূবিধা সমূহ পৌছে দেয়া হয়েছে। জনগনকে সচেতন করতে ইতোমধ্যে মাইকিং, হ্যান্ডবিল ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়। জনসাধারন কে উদ্বুদ্ধ করতে ও স্বাস্থ্য বিধি মানতে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহবান জানান।