কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাতিজি কর্তৃক চাচা উপজেলা যুবলীগ সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম রেজুকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট মিথ্যা অভিযোগ দাখিলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন। রোববার উপজেলার মৌকারা ইউনিয়নের ময়ুরা গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল করিম রেজু তার ভাতিজির মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক তার স্বাক্ষর সম্বলিত স্টাম্প ফেরত দেয়ার দাবি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রেজাউল করিমের বয়োবৃদ্ধ মাতা হাবিয়া খাতুন, একই গ্রামের মোস্তফা, আবুল কাশেম, আবদুস সাত্তার, মজিবুল হক, সফিক, মোকছেদুর রহমান, দিদারুল ইসলাম, আবুল হাশেম বাবুল প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেজাউল করিম রেজু জানান, আমার পিতা মফিজ উল্লা মারা যাবার পর এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় সালিশ বৈঠকে আমাদের চার ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে সম্পত্তির দলিলমূলে একটি বন্টকনামা হয়। সে সময় আমার মেঝো ভাই মৃত মর্তুজার স্ত্রী ও তিন মেয়ে তাদের অংশে টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরাও করে ভোগদখল করে আসছে। পরে বড় ভাই আলী আকবর ও সেজো ভাই মোস্তফা কামাল সম্পত্তির বন্টননামা না মেনে সমস্ত সম্পত্তি চার ভাই ভোগ দখল করবে বলে জানায়। কিন্তু আমি বোনদের বাদ দিয়ে চার ভাইয়ের সম্পত্তি ভোগ দখলের সিদ্ধান্ত না মানায় বড় ভাই আলী আকবর ও মোস্তফা কামাল মৃত ভাই মর্তুজার দুই মেয়েকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে সম্পত্তির বন্টকনামা না মানা ও জোর করে সব দখল করছি বলে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। পরে আমার ভাই মর্তুজার ছোট মেয়ে মার্জিয়াকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা করা, মাদকাসক্ত হয়ে আমার ভাই মর্তুজার মেয়েদের মারধর করা এবং তাদের অংশ ভোগ করতে না দেয়ার মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করে। এ ব্যাপারে গত ১৫ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল তার কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে হাজির করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাদিনীর অভিযোগ শুনে ১শ টাকার তিনটি স্ট্যাম্প এনে আমাকে স্বাক্ষর করতে বলেন। আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বানোয়াট অভিযোগের পেক্ষিতে আমার নিকট থেকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়। আমার স্বাক্ষর সম্বলিত স্ট্যাম্প ফিরিয়ে দেযার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন জানাচ্ছি।