নেত্রকোণার কলমাকান্দায় ১৪ বছরের এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলা দায়েরের গত রোববার (১৯ জুলাই) পর্যন্ত ৬৩ দিন পার হলেও একমাত্র আসামি এখনও গ্রেফতার হয়নি। প্রতিবন্ধী মেয়ের ধর্ষণের বিচার চেয়ে বিপাকে পিতা! একমাত্র আসামি শহর আলী (২৬) উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কয়রা গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে।
রোববার সকালে ধর্ষিতার পিতা স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় আড়াই মাস পার হয়েছে আমার মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের আসামিকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। পালিয়ে থাকা শহর আলী প্রায়ই নিজ বাড়িতে ঘোরাফেরা করে। আমাকে প্রায় সময় হুমকি ধামকি দেয় শহর আলী ও তার পরিবারের লোকজন। জানের ভয়ে আমি বাড়িতে থাকি না। আমাকে এক্সিডেন্ট বা ডুবাই বা শরীরের হাড় গুড়া করে ফেরবে এ ধরনের হুমকি দিচ্ছে আসামির লোকজন। আমি কলমাকান্দা সদরে আসলে তাদের ভয়ে রাত করে বাড়ি ফিরতে পারি না। ফিরলে ঘুর পথে পালিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। মামলা করে বিচার পাব দূরের কথা, এখন জান নিয়ে টানাটানির মধ্যে আছি। এ মামলা করে তিনি আতঙ্কেও মধ্যে রয়েছেন বলে জানান ধর্ষিতার পিতা।
এই বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলমাকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এস,আই) মো. আবদুস ছালাম আসামিকে গ্রেফতারের বিষয়ে প্রতিবেদককে বলেন, এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এখনও তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি। গোপনে স্থানীয় লোকজন বাদীকে নিয়ে দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে আপস করার চেষ্টা করেছিল। যেহেতু মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরী হওয়ায় পুলিশের তৎপরতায় আপস মীমাংসা করতে ব্যার্থ হয়েছে উভয়পক্ষ।
উল্লেখ্য, শহর আলীর বাড়িতে মাহফিলের অনুষ্ঠানে যায় ভিকটিম। মাহফিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে শহর আলী পুকুর পাড়ে ধর্ষণ করে এব মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসতে দেখে শহর আলী দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে ভিকটিম বাড়িতে এসে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের বুঝায় শহর আলী ধর্ষণ করেছে।
এ নিয়ে গত ১৬ মে (শনিবার) রাতে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণের দায়ে শহর আলীকে একমাত্র আসামি করে কলমাকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরের দিন রোববার ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়।