তানোরে করোনার প্রভাবে পশুহাটগুলোতে কোরবানীর গরু-ছাগল বেচা কেনা কমেছে অন্য বছরের তুলনায় কয়েকগুন। ফলে ছোট ছোট খামারীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। অন্য বছর গুলোতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা তানোর উপজেলার বিভিন্ন হাঠগুলো থেকে গরু ছাগল কিনে নিয়ে যান। কিন্তু এবার করোনা প্রভাবের কারণে অন্য জেলাগুলো তেকে পাইকাররা না আসায় পশুহাটগুলোতে বেচা কেনা কমেছে কয়েকগুন।
আজ (২০ই জুলাই) সোমবার মুন্ডমালা পশু হাটে গিয়ে কোরবানি গরু ছাগল বিক্রি করতে আসা একাধিক বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, ছোট সাইজের গরু (৮০ কেজি মাংস হবে) এমন গরুর দাম ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজের গরু (৯০ কেজি মাংস হবে) ৪৫ থেকে ৫০ হাজার এবং বড় সাইজের গরু (১০০-১৪০ কেজি মাংস হবে) ৮০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাকাচ্ছেন। ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম থাকার কারণে বেচা-কেনা হচ্ছে খুবই কম।
তবে, ছাগলের দাম কিছুটা বেশি রয়েছে (১২ কেজি মাংস হবে) এমন ছাগলের দাম ৮ হাজার টাকা থেকে থেকে ৯ হাজার, ১৫ থেকে ১৮ কেজির দাম ছাগল ১৩ থেকে ১৫ হাজার ও ২০ থেকে ২৫ কেজি মাংস হবে এমন ছাগলের দাম হাকানো হচ্ছে ১৭ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা।
তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা হাটে কোরবানীর জন্য গরু কিনতে আসা পাঁচন্দর গ্রামের (নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক) জৈনক ব্যাক্তি বলেন, এবার গ্রামের অনেক মানুষ কোরবানি দিতে পারবেননা। সাত ভাগে কোরবানীর জন্য মানুষ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তিনি বলেন, করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়ায় অর্থের অভাব অণ্য দিকে এখন রোপা আমন ধান রোপনের খরচের কারণে অনেক মানুষ কোরবানি দিতে পারছেন না।
তানোর উপজেলার মুন্ডমালা হাটের সহযোগী ইজারাদার আলহাজ আহম্মদ আলী বলেন, স্বাভাবিক দিনের তুলনায় চলতি সপ্তাহে গরু ও ছাগল হাটে বেশি উঠেছে কিন্তু সেই তুলনায় ক্রেতা কম হওয়ায় কেনা-বেচা বাড়েনি।
তিনি বলেন, ঈদুল আজহা আসতে আরো ১০ দিন বাঁকি রয়েছে আর একটা হাট পাওয়া যাবে সামণে হাটে বেচা কেনা বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।
তিনি বলেন, কারোনার প্রভাব পশুহাটগুলোতে অন্য জেলা থেকে পাইকাররা না আসায় বেচা কেনা কম হচ্ছে।
মুন্ডুমালা পৌরসভার প্যানেল মেয়র আমির উদ্দিন আমিন বলেন, প্রতি বছর কোরবানীর কয়েক সপ্তাহ আগে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা মুন্ডমালা হাটে এসে পছন্দের গরু-ছাগল কিনে নিয়ে যান কিন্তু এবার কারোনার প্রভাবে পাইকাররা আসেননি। এতে বড় লোসানের শঙ্কায় রয়েছে ছোট খামারীরা।
হাটে গরু বিক্রি করতে আসা খামারী মামুনুর রশিদ বলেন গো-খাদ্যের দাম বাড়াই গরু পালনে খরচ বেশি হয়েছে। গরু পালনের খরচ ধরে বাজারে গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে। তবুও দাম ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে। খরচ বাদে সামান্য লাভ পেলেই তারা গরু বিক্রি করেদিবেন। তবুও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছেনা।