নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা লঙ্ঘন করে বাড়ী নির্মানের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী আবদুল হালিম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নির্মানাধীন বাড়ীর ছাদের পানিতে বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ সহ কমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হওয়ার আশংকা।
বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, লালপুর উপজেলার ৩৪নং ওয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা ঘেষে বাড়ী নির্মানের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী আ: হালিম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আবদুল হালিম বিদ্যালয়ের পিছনে (পূর্বে) বসবাসকারী মৃত ইমান কারিগর এর ছোট ছেলে। তিনি তার দ্বিতল বাড়ী নির্মানের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের সীমনা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে লোক চক্ষুর অন্তরালে নিজ স্বার্থে, বিদ্যালয়ের সীমানা লঙ্ঘন করে বাড়ীর ছাঁদ করার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানান এলাকাবাসী। নির্মানাধীন বাড়ীর ছাদের পানিতে বিদ্যালয়টি ক্ষতিগ্রস্থ সহ কমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করেেছন এলাকার সচেতন মহল।
এবিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার সরকার বলেন- করোনার কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমি বেশ কিছুদিন বিদ্যালয়ে না আসায় বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। আমি জানার পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: সাদিকুর রহমান সাকিব এবং অন্যতম সদস্য জয়নাল আবেদীন বলেন- নিজ স্বার্থে অত্র এলাকার শর্তবর্ষী সুনাম ধন্য বিদ্যালয়ের ক্ষতির উদ্দেশ্যে লোক চক্ষুর অন্তরালে সরকারি জমির সীমানা লঙ্ঘন করে বাড়ী নির্মান করে বিদ্যালয়ের ক্ষতি করবে।
এব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে আবদুল হালিম বলেন, আমার নির্মানাধীন বাড়ীর নিচতলা ও ২য় তলার ছাদের কার্নিস সমান্তরাল আছে। প্রয়োজনে ছাদের পানি প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে নিচে নামানোর ব্যবস্থা করবো।
এঘটনায় ওয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান জানান, পার্শ্ববর্তী আবদুল হালিম এর নির্মানাধীন বাড়ীর ২য় তলার ছাদের পানি বিদ্যালয়ের মধ্যে পড়বে। সে ক্ষেত্রে বিদ্যালয়টির কমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হবে পাশাপাশি জানালাসহ বিদ্যালয়টি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, অভিযোগ পেয়েছি, সরকারি জায়গা দখল করার কোন সুযোগ নেই। ওয়ালিয়া ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তাকে সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।