কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরুর খামারে ক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে। করোনার কারণে কোরবানির পশুর হাটের পরিবর্তে গরুর খামারের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই পছন্দ অনুযায়ী কোনবানির জন্য গরু ক্রয় করেছেন। এ ছাড়া প্রতিদিন বিভিন্ন খামারে খামারে ঘুরে গরু পছন্দ করছেন। বেশীরভাগ ক্রেতা পশুর হাটে যাবেন না বলে জানিয়েছেন। একদিকে টঙ্গী পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায়, করোনা আতঙ্ক অপরদিকে এবার টঙ্গী পশুর হাটের রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। সবমিলে খামারে ভিড় জমেছে। আবার অনেকেই সুলভমুল্যে উত্তরবঙ্গ থেকে গরু এনে কোরবানি দিবেন।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, টঙ্গী ও আশপাশ এলাকায় গরুর খামারে ক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে। নানা সমস্যার কারণে এবার টঙ্গী পশুর হাট জমবে না বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অতিরিক্ত হাসিল আদায়, করোনা আতঙ্ক, ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান পার্টির আনাগোনা এসব ভেবেই অধিকাংশ ক্রেতা হাটে যেতে রাজি নন। আর এমনটাই ভেবে খামারীরা ফেসবুক ও বিভিন্ন অনলাইনে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরমধ্যে মধুমিতা সরকার ক্যাটেল এগ্রো, হিমাদীঘি ইসলাম এগ্রো, তিলারগাতি মন্ডল এগ্রো, পূবাইল মোহাম্মদ এগ্রো প্রতিটি খামারে ক্রেতাদের ভিড় জমতে শুরু করেছে। ইসলাম এগ্রো ফার্মের মালিক ৪৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নূরু বলেন,আমার খামারের ৪ থেকে ৫টি গরু বিক্রি করেছি। প্রতিদিন ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে। তবে পূবাইল মোহাম্মদ এগ্রো ফার্ম থেকে প্রায় ৫০-৬০টি গরু বিক্রি হয়েছে। সালনা এমএম এগ্রো ফার্মের মালিক রুহুল আমিন বলেন, আমার খামারের প্রায় ১’শ গরু বিক্রি
হয়েছে। এদিকে ৫২নং ওয়ার্ড তিতারগাতি মন্ডল এগ্রো ফার্মের মালিক রুবেল মন্ডল বলেন, আমার ফার্মের গরু কিনলে সাথে একটি মোটর সাইকেল ফ্রি দেয়া হবে।
ক্রেতারা অনেকেই আসছেন গরু দেখছেন। দত্তপাড়া এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, করোনার কারণে এবার পশুর হাটেই যাবোনা, শুধু আমি না অনেকেই হাটে যেতে রাজি নন।