দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ৫ সদস্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গত ২১ জুলাই মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এর নির্দেশে ওই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর নিশ্চিত হয়ে শাহবাজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের কিছু নেতা কর্মী মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় “বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। সংগঠনের চেয়ারম্যানের নির্দেশে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত সরাইল উপজেলা যুবলীগের কমিটি অদ্য ২১ জুলাই ২০২০ খ্রি. থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।” দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও নির্বাচনী বিরোধের জেরে গত ১৩ ফেব্রƒয়ারী সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সরাইল সদর ইউনিয়নের প্রাত:বাজারের সড়কে প্রকাশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রামদা চাপাটি দা কিরিজ সহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একদল লোক সাবেক ইউপি সদস্য রকেটের উপর হামলা চালায়। মূহুর্তের মধ্যে কূঁপিয়ে তাঁর দেহকে ছিন্নভিন্ন করে নির্মম ও নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। ওই হত্যা মামলার এজহারভূক্ত ১৬ নম্বর আসামি হন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শের আলম মিয়া। গত ২ মার্চ ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে যুবলীগের চট্রগ্রাম বিভাগীয় বর্ধিত সভায় শের আলম মিয়াকে বহিস্কার করা হয়। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর এই মামলার অভিযোগপত্রে একই কমিটির সভাপতি আশরাফ উদ্দিন মন্তুকে ২২ নম্বর আসামি হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করে পুলিশ। গত ৮ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশের এস আই জিয়াউল হক ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্র জমার ১২ দিন পর সরাইল উপজেলা যুবলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ আংশিক কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করলেন কেন্দ্রিয় যুবলীগ। গত মঙ্গলবার রাতে কমিটির বিলুপ্তির খবরে নানা ধরণের মন্তব্যে সরগরম হয়ে ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আর শাহবাজপুরে কাজী মো. ছালামের নেতৃত্বে নেতা কর্মীদের মধ্যে চলে মিষ্টি বিতরণ। প্রসঙ্গত: ২০১৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর জেলা শহরে সম্মেলনের মাধ্যমে সরাইল উপজেলার যুবলীগের ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা ও অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। দ্রƒততম সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ বছর পরও সরাইল যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়নি। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পদক মো. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস সরাইল যুবলীগের কমিটি বিলুপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, এই কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তারপর সভাপতি সম্পাদক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত। বাংলাদেশ যুবলীগ কখনো উশৃঙ্খলতাকে প্রশ্রয় দেয় না। অতিদ্রƒততম সময়ের মধ্যে সরাইলে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে।