কুমিল্লার পূবালী ব্যাংক লাকসাম শাখায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নানাহ হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এতে গ্রাহকরা ক্ষুদ্ধ। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাদিক সুত্র জানায়, পূবালী ব্যাংক লাকসাম শাখায় নিজস্ব পেশী শক্তির দাপটে কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিভিন্ন ব্যসায়ীদের ১০/২০/৫০/১০০ টাকার নোট জমা নিচ্ছে না। এর প্রতিবাদ জানালে ক্যাশ ইনচার্জ রাশেদুল ইসলাম ঐ সব ব্যবাসায়ীদের উপর ক্ষেপে গিয়ে অকথ্য ভাষা ব্যবহার এবং নানাহ বির্তক সৃষ্টি করেছে। এতে ব্যাংকের সুনাম ক্ষুন্ন সহ ব্যাকিং সেবা নিয়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্দ প্রকাশ করেছে।
ব্যবসায়ী মোঃ খোরশেদ আলম সেলিম জানায়, পূবালী ব্যাংক লাকসাম শাখায় বড় নোটের সাথে ৫০টাকার ২টি বান্ডেল জমা দিতে গেলে ক্যাশ ইনচার্জ রাশেদ বড় নোট গুলো নিয়ে ৫০টাকার বান্ডেল গুলো জমা নেয়নি। আমার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার প্রতিবাদ জানালে তাকে ঐ কর্মকর্তা নানাহ অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন।
লাকসাম ব্যবসায়ী সমিতির শীর্ষ নেতা পিন্টু শাহা বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরে এ ধরনের অরাজকতা ও ব্যাবসায়ীদের নানাহ হয়রানী করা দীর্ঘদিনের সমস্যা। সকল ব্যাংকেই এ সমস্যা বিদ্যমান। এ পূবালী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে এসে ছোট নোট নিয়ে ক্যাশ ইনজার্জের সাথে আমারও তর্কাতর্কি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ জানালেও ব্যবস্থাপক সাফিউল আলম সন্তোশজনক জবাব দেয় নি বলে ব্যবসায়ীরা জানায়। ব্যবসায়ীরা পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সাফিউল আলম ও ক্যাশ ইনচার্জ রাশেদকে প্রত্যাহার করার দাবি জানায়।
এব্যাপারে পূবালী ব্যাংক লাকসাম শাখার ব্যবস্থাপক সাফিউল আলম বলেন, আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। ছোট নোটে লকার ভরে গেছে। কোন গ্রাহক ছোট নোট নিতে চাচ্ছে না। আমরা পকেট থেকে টাকা লোকশান দিয়ে অনত্র ছোট নোট গুলো চালাতে হয়। ক্যাশ ইনচার্জের আচরণ নিয়ে অফিস শেষে বসবো এবং ব্যবস্থা নিব।