ভারত-চিন সংঘাতের পরই একধাক্কায় ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দেয় মোদী সরকার। টিক টক, হ্যালো-র মত বেশ কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাতারাতি। এবার সেই অ্যাপগুলিকে ফের কড়া বার্তা দেওয়া হল কেন্দ্রের তরফে। মঙ্গলবার ওই সব সংস্থাগুলিকে কড়াভাবে নির্দেশ পালন করার জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে যে, সরকারের নির্দেশ না মানলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। সবকটি সংস্থাকে এদিন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফ থেকে চিঠি লেখা হয়েছে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ হওয়ার পরও যদি অ্যাপগুলি কোথাও চলে, তাহলে তা শুধুমাত্র বেআইনিই নয়, এ ক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। কেন্দ্রের অভিযোগ, এই ৫৯টি অ্যাপ ভারতের ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করছে। অ্যাপ ব্যবহারকারীর নাম,ঠিকানা,সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট,নানারকম গুরুত্বপূর্ন তথ্যের উপর গোপনে নজরদারী চালায় এই অ্যাপ গুলি। এমনকী, ভারতের সার্বভৌমত্ব, সৌভ্রাতৃত্বকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে। ভারতের প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তাকেও নষ্ট করার চেষ্টা করছে এই অ্যাপগুলি। তাই গত ২৯ জুন এই ৫৯টি অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপায় কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁদের কথায়,এটা কেন্দ্রের ডিজিটাল স্ট্রাইক। এই নির্দেশিকার জেরে চিনের অর্থনীতি ব্যপক ধাক্কা খাবে। এক কথায়, বেজিংকে ভাতে মারতে প্রস্তুত সরকার। একে করোনা তার উপর গত দুমাস ধরে নানা ইস্যুতে ভারত-চিনের রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছিল। এরইমধ্যে গত ১৫ জুন তা চরম আকার ধারন করে। লাদাখের গালওয়ানে ভারত-চিন সংঘর্ষে শহীদ হন ২০জন ভারতীয় জওয়ান। এরপরই দেশজুড়ে চিনাদ্রব্য বয়কটের আন্দোলন আরও জোরদার হয়। বেশ কিছুদিন ধরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিনের তথ্য হ্যাকের বিষয়ে বিস্তর অভিযোগ আসতে শুরু করেছিল। এই বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে ধরা পড়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জনপ্রিয় চিনা অ্যাপ টিকটক, হেলো, লাইক, ভিগো ভিডিও, ইউসি ব্রাউসার সহ একাধিক অ্যাপের আড়ালে ভারতীয়দের গোপন তথ্য পাচার হচ্ছে চিনে। আর এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে ১৩০ কোটি দেশবাসীর স্বার্থ এবং সুরক্ষার কথা ভেবে ৫৯টি চিনা অ্যাপ মোবাইল ফোন থেকে ব্লক করে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই ব্যাপারে মোবাইল কোম্পানি গুলিকেও সাহায্যের আর্জি জানান তিনি।