চীনকে মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে জোট গড়তে চায় বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। লন্ডন সফরে গিয়ে চীনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে পম্পেও মঙ্গলবার এই জোট গড়ার আহ্বান জানান এবং বলেন, তিনি চান স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে হৃদয়ঙ্গম করা প্রতিটি দেশই চীনের হুমকি উপলব্ধি করুক। চীনকে আগ্রাসী আখ্যা দিয়ে পম্পেও বলেছেন, তারা অবৈধভাবে সমুদ্র দখল করছে, হিমালয় অঞ্চলের দেশগুলোকে উত্ত্যক্ত করছে, করোনাভাইরাস নিয়ে সঠিক তথ্য লুকিয়েছে এবং এই মহামারীকে অত্যন্ত হীনভাবে নিজেদের ভবিষ্যৎ স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজে লাগাচ্ছে। “আশা করি আমরা এমন একটি জোট গড়তে সক্ষম হব, যে জোট চীনের হুমকিকে উপলব্ধি করে একজোট হয়ে কাজ করবে এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টিকে বুঝিয়ে দেবে যে, তাদের এই ধরনের আচরণে কোনও স্বার্থ সিদ্ধি হবে না।” ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে মাইক পম্পেও সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চিহ্নিত করে অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় তারা সুবিধা নিচ্ছে। নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়েও চীন বিশ্বকে সত্য তথ্য দেয়নি। চীনের উহান শহর থেকেই সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ট্রাম্প শুরু থেকে একে ‘চায়না প্লেগ’ বলে আসছেন। চীনের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার বিষয়টিসহ হংকংয়ে চীনের নিরাপত্তা আইন চালু এবং সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম নিপীড়ন নিয়ে অভিযোগ করে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মত যুক্তরাজ্যও বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। চীনের টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের ফাইভ-জি নেটওয়ার্কও যুক্তরাজ্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লন্ডন সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে এজন্য প্রশংসা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, ‘‘জনসন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নাহলে হয়ত হুয়াওয়ের এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য শেষ পর্যন্ত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির হাতে পড়ত।”