মরার ওপর খারার ঘাঁ একদিকে বন্যা অন্যদিকে মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে বিপাকে চরাঞ্চলসহ সদরপুর উপজেরার বিভিন্ন গরুর খামারীরা। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবছও দেশীয় খামারে পশু গুলোকে লালন-পালন করে লাভের আশায় মাহামারি করোনা ভাইরাস ওবন্যার কারণে লোকসানের বোঝা বইতে হচ্ছে। বর্তমান পরিস্তিতে গরুর সঠিক দাম না পাওয়ার আশঙ্কা করছে খামারী মালিকরা। এদিকে কোরবানি উপলক্ষে গরু- ছাগলের স্বাস্থ্যবিধির মেনে লালন-পালন করলেও বিগত বছরগুলোতে এ সময়ে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা এসে বিভিন্ন হাঁট থেকে গরু কিনে নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করতেন। কিন্তু এ বছর মাহামারি করোনা ও বন্যার কারণে বাহিরে থেকে কোন ব্যবসায়ীদের দেখা মেলেনি তাই খামারীরা এসব গরু তেমন কোন দাম পাচ্ছে না। ফলে ক্ষতির আশঙ্কায় আছে তারা। জানা গেছে উপজেলার ছোট-বড় কয়েক শত খামার রয়েছে। উন্নত জাতের অল্প বয়সী গরু কিনে মোটা-তাজা করারা জন্য ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত লালপালন করে আসছে খামারীরা। ঢেউখালী ইউনিয়নের ইউসুফ মুন্সি কান্দি গ্রামের গরু খামারীর মালিক সামাদ মুন্সি জানান, হঠাৎ বন্যার পানি বাড়িতে ঢুকায় আমারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে উচ্চু রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছি। বর্তমানে আমারা এ অবস্থায় এম বেলা খেয়ে না খেয়ে ও গরু-ছাগল নিয়ে গো-খাদ্য অভাবে বিপাকে পড়েছি। এবছর ক্ষতিগ্রস্থ খামারী মালিকদের প্রতি বর্তমান সরকারের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেন।