ফরিদপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ৩ সে.মি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমরা ১০০সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে উপদ্রুত এলাকার জনগোষ্ঠির মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। তবে দুর্গত মানুষের তালনায় বিতরণের হার অনেক কম।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, পদ্মা নদীর পানি আবার বাড়তে শুর করেছে।তিনি বলেন, গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি একদির বাড়ছে আবার পরের দিন কমছে, আবার বাড়ছে। তিনি বলেন, জাতীয় বৃদ্ধি এ ঈংগিত দিচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি দির্ঘায়িত হবে।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ডা. হজরত আলী বলেন, বন্যায় আউশ ধান ১০৮৫, বোনা আমন ৩৫৬০, রোপা আমন ২৮০০, রোপা আমনের বীজ তলা ৫৩ ও সবজি ১৯৫ হেক্টোর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যার পানি দীর্ঘ সময় ধরে জমিতে থাকলে কৃষির ক্ষতির মাত্রা দিনে দিনে আরও বাড়বে।
ফরিদপুরের সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার চরাঞ্চলে প্রথমে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করে। এরপর গত চার পাঁচদিনে বিভিন্নস্থানে পানি বেড়ে যাওয়ায় ও বাঁধ ভেঙ্গে পড়ায় প্লাবিত হয়েছে এসব উপজেলার আরো বিস্তীর্ণএলাকা। এ ছাড়া আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদের পানি বেড়ে বিভিন্ন খালনালা দিয়ে পানি প্রবেশ করেছে পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা ও নগরকান্দা উপজেলাতেও।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের দেড় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় এক লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানিবন্ধী মানুষগুলো আশ্রয় নিয়েছে শহর রক্ষা বাধে। শহর রক্ষা বাধে আশ্রয় নেওয়া মানুষ গুলো গরু-ছাগল নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বন্যার্তদের মাঝে পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, বানভাসী মানুষদের জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫৫০ মেট্রিক টক চাল, ৭ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও নগদ ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব সামগ্রী যা সংশ্লিস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ত্রানের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। প্রয়োজনে বরাদ্দ আরো বাড়ানো হবে।