সরাইলে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বসতবাড়ি হারিয়েছে পানিশ্বর ইউনিয়নের তিন গ্রামের ২৪ পরিবার। বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদের আর্থিক সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে ভিটঘর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সহায়তার টাকা প্রদান করা হয়। সূত্র জানায়, সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মোসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. রূহুল আমিন। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন- সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াংকা, সরাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাইফুল ইসলাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু নাঈম মৃর্দা ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. দ্বীন ইসলাম। প্রধান অতিথি নদী গর্ভে বসতবাড়ি বিলীন হওয়া পানিশ্বর, শাখাইতি ও ষোলাবাড়ি তিন গ্রামের ২৪ পরিবারকে মোট ৩ লাখ টাকা প্রদান করেছেন। সেই সাথে তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন ৮০ ব্যাগ খাদ্য শষ্য। দ্রƒততম সময়ের মধ্যে সরকারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় তথা বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদের এ সহযোগিতা হাতে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন বসতবাড়ি হারা লোকজন। তারা সরকার তথা সহায়তা প্রদানকারীদের প্রশংসা করে বলেন, আমাদের বিপদের সময় যারা পাশে দাঁড়িয়েছেন। স্বয়ং আল্লাহ যেন সবসময় তাদের পাশে থাকেন। প্রসঙ্গত: অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেঘনা ও তিতাস নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মেঘনার পানির প্রবল ঢেউয়ের কবলে নদীর তীরবর্তী পানিশ্বর, শাখাইতি ও ষোলাবাড়ি গ্রামের অনেক বসতবাড়ি গত ১০-১২ দিন ধরে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। নদী গিলে নিয়েছে বেশ কয়েকটি চাতাল ও বয়েলার। চোখের সামনে সব কিছু হারিয়ে মানুষ জন খোলা আকাশের নীচে ছুটাছুটি করছে। অনেকে বাকরূদ্ধ হয়ে বসে শুধু চোখের জল ফেলছেন। এমন সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ পরিষদ। বসতবাড়ি হারা লোকজনের কোন রকমে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে।