নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার চরএলাহি ইউনিয়নে মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরী(১৮) কে ধর্ষণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছে জেলা যৌন হয়রানি র্নিমূলকরণ নেটওয়ার্ক।
এধর্ষনের ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৮, ২৩ জুলাই ২০। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত প্রবাসী যুবক শিপন(২২) পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্ত শিপন একই উপজেলার একই ইউনিয়নের চরযাত্রা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে।
নেটওয়ার্ক নেতৃবৃন্দ জানান, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ওই কিশোরী তার পালক পিতার সাথে কোম্পানিগঞ্জের চরএলাহীতে থাকতো। মানসিক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী গত ২০ জুলাই সোমবার বিকাল চার টার দিকে চরযাত্রা গ্রামের স্থানীয় একটি চা দোকান থেকে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিল। কিছু পথ যাওয়ার পর প্রবাসী শিপন তার পথরোধ করে এবং কৌশলে পার্শ্ববর্তী একটি মাছের প্রজেক্টের পিছনে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে কিশোরীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ২২ জুলাই রাতে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে শিপন কে আসামি করে কোম্পানিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
কোম্পানিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রবিউল হক জানান, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী কে ধর্ষণের অভিযোগে শিপন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবক কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নোয়াখালীতে মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণসহ চলমান নারী-শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক ও নোয়াখালী জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম ও যুগ্ন আহ্বায়ক এবিএম আবদুল আলীম সহ নেটওয়ার্ক নেতৃবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতিতে তীব্র প্রতিবাদ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে নেতৃবৃন্দ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।