কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা সদরে বেরিবাধেঁ ঘোড়াউত্রা নদীতে উৎসব মুখর পানি দেখার জন্য দেশের অনেক প্রান্ত থেকে অর্ধশতাধিক জিপগাড়ী ও শত শত হোন্ডা নিয়ে মাতম করার জন্য প্রস্তুতি নিলে পুলিশ প্রশাসনের বাধাঁর মুখে পড়ে রোদারপুড্ডায়। আবার, কেহ কেহ হোন্ডা ও জিপ গাড়ী রেখে পানি পথে রোদারপুড্ডা থেকে বিভিন্ন ট্রলার দিয়ে উৎসুক জনতা বেরিবাধেঁ চলে যাচ্ছে পুলিশকে ম্যানেজ করে। শুক্রবার দুপুরে রোদারপুড্ডা বাজারে সরেজমিন গেলে দেখা যায়, যাদের উপরের ফোন আসে টহলরত পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয় বেরিবাধেঁ যাওয়ার জন্য। কিন্তু শুক্রবার বিকেল ৩টায় নিকলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুদ্দিন মুন্নাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বেরিবাধেঁ যাওয়াগত উৎসুক জনতাকে জরিমানা করবেন বলে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে নিকলী থানার ওসি শামসুল আলম ছিদ্দিকীকে ফোন করলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি আর পারছি না, আপনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করার জন্য অনুরোধ করেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ দিন আগে বেরিবাধ সংলগ্ন এলাকায় ১৮ বৎসর বয়সী একটি ছেলে নৌকা থেকে পড়ে মারা যায়। এর পরেও নিকলী উপজেলা প্রশাসন কী ভুমিকা নিলেন এ নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রশ্নের দানা বেধেছে।