পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর ভবন নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম। ২৪ জুলাই শুক্রবার ওই অফিসের ভবনের কাজের উদ্বোধন কালে কাজের অনিয়মের বিষয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিযোগে জানা গেছে, নির্মাধীন ওই ভবনের নির্মানে গ্রেট ভীমের গাঁথুনীতে নিম্ম মানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এ নিম্ম মানের ইট ব্যাবহারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা জন স্বাস্থ্য প্রকৌশলী বাঁধা দিলেও তা তোয়াক্কা না করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের নির্দেশে নির্মান শ্রমিকরা ওই ইট ব্যাবহার করছেন। গত বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান নিম্মমানের ব্যাবহৃত ইটের গাঁথুনি ভেঙ্গে ফেলেন। জানা গেছে, ২৬ লাখ ৪৬ হাজার ১শ’ ৬৬ টাকা ব্যায়ে নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের ভিতর উপজেলা নির্বাচন অফিস ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের পুরাতন অফিস ভবনের মাঝে এ ভবন নির্মান করা হচ্ছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আকাশ মন্ডল জানান, ওই পাজার ইট দিয়ে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ইতঃপূর্বে নিষেধ করা হলেও তারা তা ব্যাবহার করেন। গত বৃহস্পতিবার ওই নির্মান কাজে নিম্মমানের ইট দিয়ে করা গ্রেট ভীমের গাঁথুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভেঙ্গে ফেলেন। অভিযোগ রয়েছে এর আগেও ওই ভবন নির্মানে নিম্মমানের উপকরন সহ পাথরের পরির্বতে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে বেইজ ও কলামের ঢালাই করা হয়। পরে এ নিয়ে স্থাণীয় এমপি (পিরোজপুর-১) মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রীর নির্দেশে ওই বেইজ ও কলাম ভেঙ্গে নতুন করে পাথর দিয়ে তা নির্মান করা হয়।