কসবার আকছিনসা গ্রামে মাছুম সরকার ছিরণ মিয়া নামক এক ব্যক্তির মিথ্যা মামলার ভয়ে উদ্বিগ্ন পাশর্^বর্তী একই গোষ্ঠীর লোকজন। ছিরণ মিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী হলেও বিভিন্ন অজুহাতে বাড়িতে ঝগরাঝাটি ও মামলা মোকদ্দমায় লিপ্ত থেকে গোষ্ঠীর শিক্ষিত এবং চাকুরীজীবীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাছুম সরকার এবং আজাদ সরকার গংদের মধ্যে বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে গ্রামে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উযপস্থিতে একাদিকবার সাভা-সালিশের মাধ্যমে শেষ করার চেষ্টা করলেও মাছুম সরকার ছিরন তা মানতে রাজি না হয়ে কসবা থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দেয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কসবা থানা তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের কোন সত্যতা খুঁজে পাননি। পরে অভিযোগটি মিথ্যা বলে খারিজ করে দেন। থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিতে ব্যর্থ হয়ে পরে নিজের নাবালিকা কণ্যার কাপড়চুপর ছিড়ে একই গোষ্ঠীর প্রতিপক্ষদের হয়রানী করার জন্য শ্লিলতাহানীর অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১৯ জুলাই মামলা করেন। এঘটনার পর থেকে এলাকার জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে আকছিনা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুল নাঈম ও ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সুলতান আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে আমরা জনপ্রতিনিধি তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল গিয়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করি। একাধিকবার ঘটনার সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। মাছুম সরকার গ্রামের সরদার মাতাব্বর বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি চাকুরি করে ক্ষমতা দাপটে তার নাবালিকা মেয়ে জান্নাত আক্তারকে দিয়ে একটি সাজানো মিথ্যা মামলা কোর্টে দায়ের করে। প্রকৃত অর্থে এরকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
গ্রামোর একাধিক ব্যক্তি এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি একটি তুচ্ছ ঘটনা। মাছুম সরকার বাড়ির রাস্তাটি দখলে নিতে বিভিন্ন ধরণের মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকার মানুষকে হয়রানি করছে। এমনকি রাস্তার দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তার ঘরের ছাঁদ থেকে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। এমনকি কফ, থুতু ফেলে মানুষকে নোংরা করে। প্রতিবাদ করলে মামলার হুমকি দেয়।
মাছুম সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামের সরকার বাড়ির পক্ষে মিজানুর রহমান সরকার মিলন বাদি হয়ে কসবা থানায় গত ২৩ জুলাই একটি সাধারণ ডাইরি করেছেন।