নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বিলদুড়িয়ায় সস্তী এন্টারপ্রাইজের ‘এসএমবি’ ইটভাটা ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এলাকাবাসীর আয়োজনে রোববার (২৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ইটভাটা চত্বরে প্রথমে মানববন্ধন এবং পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্থ ভাঁটা মালিক ফজিলাতুন্নেছা। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন বড়নাল-ইলিয়াসাবাদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ গোলাম মোস্তফা, চন্ডিনগর গ্রামের জহুর গাজী, বিলদুড়িয়া গ্রামের ইমান শেখ, অলিদ মল্লিক প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বড়নাল গ্রামের এসএম মাহবুবুর রহমান, বিলদুড়িয়া গ্রামের সাইদুর রহমান, কুঞ্জপুর গ্রামের কামরুজ্জামান, মাথাভাঙ্গা গ্রামের আবদুল লস্কর, রাজাপুর গ্রামের আলমগীর মোল্যা, ফিলফানগর গ্রামের রসুল মল্লিকসহ এলাকাবাসী।
ক্ষতিগ্রস্থ ইটভাটা মালিকসহ বক্তারা বলেন, গত ২২ জুলাই বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে হঠাৎ করে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বিলদুড়িয়ায় এলাকার ‘এসএমবি’ ইটভাটার চিমনিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করা হয়। নীতিমালা মেনে ইটভাটার কার্যক্রম চালু থাকলেও উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ‘এসএমবি’ ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এতে প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। শতাধিক ব্যক্তি বেকার হয়েছেন। অথচ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কালিয়া উপজেলায় অনেক ইটভাটা চালু থাকলেও সেসব ভাটার বিরুদ্ধে কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয় না।
বড়নাল-ইলিয়াসাবাদ ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ গোলাম মোস্তফা বলেন, এই ভাটার জন্য এ অঞ্চলের হাজারো মানুষের উপকার হয়। কোনো নোটিশ ছাড়াই এই ইটভাটা ভাঙ্গার তীব্র নিন্দা জানাই। চন্ডিনগর গ্রামের জহুর গাজী বলেন, ভাঁটা ভাংচুরের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। তখন কাগজপত্র দেখানোর কথা বললে, কর্মকর্তারা রেগে যান। বিলদুড়িয়া গ্রামের ইমান শেখ বলেন, ভাঁটা ভাঙ্গার সময় কর্মকর্তারা কোনো কথা কর্ণপাত করেননি।
ভাটামালিক ফজিলাতুন্নেছার ছেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১৪ বছর ধরে তিল তিল গড়ে তোলা আমাদের ইটভাটা কেন গুড়িয়ে দেয়া হলো জানি না। হয়ত স্বার্থন্বেষী মহলের কুদৃষ্টি পড়েছে। এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।