এফএনএস অনলাইনে ২৩ জুলাই “প্রভাবশালীর ধর্ষণে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে স্কুলছাত্রী” শিরো নামে একটি সংবাদ প্রকাশের পরে অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রীর সাথে ২৪ জুলাই ধর্ষকের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয় ও বিবাহের হলফনামা সূত্রে জানাগেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলার পশ্চিম কাঠিরা গ্রামের আনরিয় পাড়াইর ছেলে অমিত পাড়াই (২০) একই উপজেলার খ্রীস্টান ধর্মের ফেলোসিফ মন্ডলির এক হতদরিদ্র পরিবারে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে সম্প্রতি ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্ব হয়ে পরেছে। ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়াতে ধর্ষিতার পরিবারকে ভয় দিলে ধর্ষিতার পরিবার গর্ভের সন্তানের পিতারপরিচয় পাবার জন্য মামলা করতে সাহস পাচ্ছিলো না। ধর্ষকের ভয়ে ধর্ষিতা পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো বলে এমন অভিযোগ পাওয়া গিছে ছিলো। বিষয়টি গ্রামে সকলের মুখে মুখে টকঅবদ্যা গ্রামে পরিনত হয়েছেও গর্ভেন সন্তাটির পিতার পরিচয় পাওয়ার জন্য কেউ এগিয়ে আসে নাই।
২৩ জুলাই এফএনএস অনলাইনে “প্রভাবশালীর ধর্ষণে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে স্কুলছাত্রী” শিরো নামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদের পরে ধর্ষকের টনকনরে। ২৪ জুলাই ঢাকা মিরপুর ৯৯৩ নং পূর্বমনিপুর বসে ধর্মিয় বিবাহ রেজিষ্টারী বহিতে অন্তরভুক্ত করা হয়। এছাড়াও ধর্ষনের দায় স্বিকার করে, অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রীর গর্ভের সন্তারে পিতার স্বীকৃতিদিয়ে ঢাকা আদালতের অ্যাডভোকেট উত্তম হালদারে মাধ্যমে ঢাকা বারের নোটারী পালিকে বিবারে হলফনামা প্রদান করে।
এব্যাপারে অ্যাডভোকেট উত্তম হালদার বলেন, ছেলে অমিত পাড়ৈ (২২) ও মেয়ে ঐশী রায়(১৮) আমার কাছে আসলে আমি তাদের বিবারে হলফনামা দুইশত টাকার ষ্ট্যাম্পের ঢাকা বারের নোটারী পালিক করে দিয়েছি। ওই হলফনামায় অমিত পাড়ৈ তার অপরাধের সবদায় সিকার করেছ।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মিষ্টার সুদীন সাংবাদিকদের বলেন, এফএনএস অনলাইনে ছাপা হবার পরে ফেলোসিফ মন্ডলির স্কুল ছাত্রী ঐশী রায় ও অমিত পাড়ৈ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
এব্যাপারে ফেলোসিফ মন্ডলির সম্পাদক অনন্দ বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করে আমাদের ফেলোসিফ মন্ডলির বিধানমতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত অমিত পাড়ৈ বলেন, ঐশীর সাথে আমার ভালোবাসার সম্পর্কের কারণে তার সাথে গর্ভীর ভাবে মেলামেশা করি। একপর্যায়ে ঐশী রায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঐশী রায়ের গর্ভের সন্তান আমার। আমি ঐশীকে ২৪ জুলাই বিবাহ করেছি।