নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পায়রা বন্দরে পন্য আমদানির মধ্য দিয়ে সরকার ১৭৮ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করেছে। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন হচ্ছে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ঘিরে। এটি প্রধানন্ত্রীর একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন। বন্দরকে ঘিরে পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ হয়েছে। নৌঘাটি নির্মান কাজ চলছে। ফোরলেন সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। রাবনাবাদ চ্যানেলে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিলেকশন কাজ চলছে।
তিঁনি বলেন, পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেল দিয়ে প্রতিদিন ২৫-৩০ হাজার মেট্রিকটন কয়লাবাহী জাহাজ চলাচল করছে। চলছে আনলোডিংএর কাজ চলছে। বর্তমানে এই চ্যানেলের নব্যতা ১৪ মিটার পর্যন্ত রয়েছে। এরপরও নব্যতা বাড়াতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হবে। রোববার দুপুরে পায়রা বন্দর সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব বলেছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, নিন্দুকেরা যাই বলুক না কেন, সরকার দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কিছুই করবে না। সরকারের সকল ধরনের সক্ষমতা রয়েছে বলেই ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকার বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। দেশি-বিদেশি চক্র যতই ষড়যন্ত্র করুক দেশের উন্নয়নে সরকার কখনও পিছপা হয়নি। ভবিষ্যতেও হবে না। আগামী ২০২৩ সালে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।
এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিববুর রহমান, সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর হুমায়ুন কল্লোল, বিআই ডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, পায়রা বন্দর পরিচালক (প্রশাসন) যুগ্ম সচিব মহিউদ্দিন আহম্মেদ, কলাপাড়ার ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী পায়রা বন্দর এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শণ করেন। তিনি রোববার সকালে পায়রা বন্দরের প্রশাসনিক ভবনের পাশে একটি গাছের চারা রোপন করেন। তিনি নৌযানে রাবনাবাদ চ্যানেল এবং ফাস্ট টার্মিনাল নির্মান এলাকা পরিদর্শন করেছেন।