কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান এ এম রুহুল কুদ্দুছ ভূইয়া জনির গাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট করেছে প্রতিপক্ষের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও তার কর্মীরা। রোববার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা অডিটরিয়ামে সামনের রাস্তায়। এ সময় ঐ প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা তার ভাতিজা কারার পলক সহ ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে সরকারী গাড়ীর কাচ ভেঙ্গে ফেলে এবং বর্তমান উপজেলার চেয়ারম্যানের ১টি ল্যাপটপ ও ১টি মোবাইল নিয়ে গেছে। তাদের হামলা ঠেকাতে গিয়ে অন্তত ৪ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, রিয়াদ হাসান রকি (২৭), তৌহিদুজ্জামান তুষার (২৬), মোঃ শফিকুল ইসলাম (২৬) ও গাড়ীর ড্রাইভার লিটন মিয়া (৩৫)। এলাকা ও অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ঐ আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় তার লোকজন এই পর্যন্ত কয়েক বার হামলা চালিয়ে আসছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করেন, হামলা কারীরা গত কয়েকদিন ধরে হামলা চালাতে পারে বলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুদ্দিন মুন্না এই প্রতিবেদককে বলেন, ভার্চুয়াল অনলাইনে আইন-শৃঙ্খলা কমিটিতে এই বিষয়ে একটি এজেন্ডা আনা হয়েছে। তিনি বলেন, অচিরেই সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। তিনি বলেন, হামলার বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেছেন। তিনি আরো বলেন, এই বিষয়ে আইন গত ব্যবস্থা নিবেন বলে উল্লেখ করেন। নিকলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্রিয়ার আহম্মেদ তুলিপ বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি তার লোকজন ভাংচুর করে নাই। তিনি বলেন, নিজেরাই নিজেদের গাড়ী ভেঙ্গে তাদেরকে মামলায় ফাঁসানোর জন্য একটি চক্রান্ত চালানো হচ্ছে। এই ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ এম রুহুল কুদ্দুছ ভূঁইয়া জনি বাদী হয়ে রোববার বিকালে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৪-৫ জনের নামে নিকলী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।