প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে ঘনিয়ে আসছে কুরবানি। চাঁদের হিসাব অনুযায়ী আগামী ১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে এ কুরবানি। এবারের কুরবানির রূপরেখা কেমন হবে? মহামারির এ সময়ে মানুষের কুরবানির ভাবনা কেমন হওয়া উচিত। এ নিয়ে ইতোমধ্যে চলছে অনেক জল্পনা-কল্পনা। চলছে আলোচনা-টকশো। করোনায় কুরবানি করায় মানুষের করণীয় কী? এ সম্পর্কেও রয়েছে মানুষের অনেক জিজ্ঞাসা।
জেলা সদরের দানাপাটুলী ইউনিয়নের বাসিন্দা করোনার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত খামারী নারী উদ্যোক্তা সেলিনা আক্তার জানালেন ২০১৫ সালে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেছিলেন সাদী তালহা ডেইরী ফার্ম নামে একটি খামার। ৭৫ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে মাত্র একটি গাভী দিয়ে শুরু করেছিলেন ফার্মটি। বর্তমানে তার ফার্মে ১৪ লাখ টাকার গাভী রয়েছে। যা থেকে প্রতিদিন ২০ কেজি দুধ উৎপন্ন হয়ে থাকে। দক্ষ খামারী হিসেবে গড়ে ওঠার লক্ষ্যে পশু লালন পালনের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হতে গবাদী পশু পালনের জন্য প্রশিক্ষণের আবেদন জানিয়েছিলেন। গত ৯ জুলাই জেলা সদরের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সে প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীতও হয়েছিলেন। ফলে গত ১৫ জুলাই নিয়মানুযায়ী জেলা যুব প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ভর্তি হতে গিয়ে পড়েন ব্ড়িম্বনায়। তাঁর ১১ নাম্বার সিড়িয়ালে অন্যজন ভর্তি হয়ে গেছে জেনে মর্মাহত হন। তিনি জানান, কর্তৃপক্ষের স্বজনপ্রীতির কারণে সদরের তালিকা বহির্ভূত অন্যজনদেরকে ভর্তি নেওয়ায় তিনি এ প্রশিক্ষণে মনোনীত হওয়ার পরেও অদৃশ্য কারণে এবং স্বেচ্ছাচারিতার ফলে ভর্তি হতে বঞ্চিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অপরদিকে দানাপাটুলি ইউনিয়নের জিগাতলা এলাকার গরু খামারী মতিউর রহমান জানান, আমার খামারে পনেরটি গরু রয়েছে। এরমধ্যে কুরবানীর জন্য ৪টি গরু রয়ে নিয়ে বিপাকে রয়েছি। করোনাকালে আজ পর্যন্ত কোন ক্রেতা গরুর দাম হাকেনি। কোন ক্রেতাও আসেনি গরু ক্রয়ের জন্য। আমার খামারের আকর্ষণীয় একটি গরু হলো রিফাত। আমার ছেলের নামে এ গরুটির নাম রাখা হয়েছে। ৬০০ কেজি ওজনের ষাঁঢ়টির জন্য ছেলেটি খুবই যত্নশীল। ফলে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে ছেলেটি গরুটির সেবা করে থাকেন। আশা করছি গরুটি ৪ লাখ টাকা বিক্রয় হবে। গরুটি যারা ক্রয় করতে চান তারা আমার সাথে ০১৬৩৯৪৯৬৬৮৮ নাম্বারে যোগাযোগ করুন। এছাড়াও জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার কাদির জঙ্গল ইউনিয়নের বাসিন্দা শহীদুল্লাহ ফকির মলাই ও সদরের ভদ্রপাড়া এলাকার গরু খামারী আবু বাক্কার ছিদ্দিক জানিয়েছেন আমাদের খামারেও বেশ কিছু গরু রয়েছে। করোনাকালে কোনো ক্রেতা গরু ক্রয়ের জন্য আসছে না বলে জানিয়েছেন তারা।