নিজের খামারে সারে তিন বছর ধরে একটু একটু করে বেড়ে ওঠা ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে “কালাবাবু” উদ্দেশ্যে ছিলো ঈদুল আজহা সামনে রেখে বিক্রিকরা। কিন্তু মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সেই আশা নিরাশ হওয়ার পথে। কারণ করোনা ভাইরাসের কারণে ক্রেতার সমাগম হচ্ছে না বলে এটি বিক্রয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় এর মালিক আমিনুৃল ইসলাম সিজান শিকদার। সরেজমিনে দেখা গেছে, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের আমিনুল ইসলাম সিজান সিকদারের নিজ খামারে লালন-পালন করা একটি ষাঁড় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ষাঁড়টির ওজন ২৭ মণ ১০ কেজি। সাড়ে ৮ ফুট লম্বা ও ৭ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার এ ষাঁড়টি বিক্রির জন্য দাম হাঁকা হয়েছে ১২ লাখ টাকা! নিজেদের খামারে জন্ম হয় কালো ও সাদা রঙের ফ্রিজিয়ান প্রজাতির ষাঁড়টির জন্মের পর থেকে কোনো প্রকার ক্ষতিকর ও মোটাতাজাকরণ ওষুধ ছাড়াই ষাঁড়টি লালন-পালন করা হয়েছে। শান্ত প্রকৃতির ও গায়ের রং কালো হওয়ায় এর মালিক আমিনুল ইসলাম সিজান সিকদার শখের বসে ষাঁঢ়টির নাম রেখেছেন “কালাবাবু”। ষাঁড়টির মালিক এ প্রতিনিধিকে জানান, ‘আমি শখ করে ফ্রিজিয়ান প্রজাতির ষাঁড়টি লালন-পালন করে তার নাম রেখেছি “কালাবাবু”। উপজেলা প্রাাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শক্রমে ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে বড় করছি। আসন্ন ঈদণ্ডঊল আযহাকে সামনে রেখে ষাঁড়টি বিক্রির ঘোষনা দিলে ষাঁড়টি কিনতে বাড়িতেই বহু লোকজন ভীর করছে। ইতিমধ্যেই ৭ লাখ টাকা ষাঁড়টির দাম উঠেছে। কিন্তু এটি লালন পালতে এর অধিক অর্থ খরচ হয়ছে করোনা ভাইরাসের কারণে এটি দাম উঠছেনা বলে তিনি জানান। প্রকৃত বাজার দর অনুযায়ী আমার চাহিদা ১২ লাখ টাকা। “কালাবাবু” এ উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় দাবী করে এর মালিক জানান, করোনাভাইরাসের কারণে বাজারে না নিয়ে বাড়ি থেকেই ষাঁড়টি বিক্রির চেষ্টা করছি। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে বাবুগঞ্জ উপজেলার ছোট বড় ২ শতাধিক খামার রয়েছে এসব খামারের মধ্যে “কালাবাবু” সব চেয়ে বড়। বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফÍরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ডা. শাহ আলম বলেন, ‘ষাঁটির লালন-পালনের জন্য সিজান সিকদার নিয়মিত পরামর্শ নেন। ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার- সবুজ ঘাঁস, শুকনো খর ও গমের ভূষি খাইয়ে ষাঁড়টিকে এ পর্যন্ত তৈরি করেছেন। ষাঁড়টি এ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড়।