পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লতাচাপলী মেীজায় বিরোধীয় ছয় একর জমি বিক্রি ও দলিল সম্পাদনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে সেই জমি থেকে দুই একর জমির দলিল করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে। গত ১৬ জুলাই এ দলিল সম্পাদন করেন। এ ঘটনার বিচার দাবি করে সোমবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে জমির ওয়ারিশ মো. আবুল কালাম ফরাজী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবুল কালাম ফরাজী দাবি করেন, লতাচাপলী মৌজার আর এস ৬৮ নং ও এস এ ১২০, ২০২ ও ৯৮৯ নং খতিয়ান থেকে তার পিতা মরহুম আমজেদ আলী ফরাজী ১৮ দশমিক ২৩ একর জমি ক্রয় করেন। এ জমি তারা ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ভোগ দখল করছেন। এ জমি থেকে মতিউর রহমান গংদের নিকট বিভিন্ন তারিখে ৯ দশমিক ৭১ একর জমি বিক্রয় করেন। মতিউর রহমান ওই জমি বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে দেন। কিন্তু মতিউর রহমান এখন তাদের রেকর্ডীয় জমি হতে ৬ একর জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। বর্তমানে ওই জমিতে পটুয়াখালী যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালত থেকে স্থিতি আদেশ রয়েছে বিবাদীগনের বিপক্ষে। একই সাথে জমি সাব কবলা দলিল, হস্তান্তর, বিক্রি ও রেজিঃ না করার আদেশ রয়েছে। কিন্তু এ আদেশ না মেনে গত ১৬ জুলাই মতিউর রহমান দুই একর জমির দলিল রেজিঃ সম্পাদন করেন।
আবুল কালাম ফরাজী অভিযোগ করেন, এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে গত ২১ জুলাই কলাপাড়া প্রেসক্লাবে মতিউর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে জেলা জজ ১ম আদালতে মামলার কথা স্বীকার করলেও আদালতের স্থিতি আদেশ গোপন করেছেন। ওই জমি নিয়ে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল ১৩৭/২০১৭ লীভ টু আপিল বিচারাধীন থাকলেও তা সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেনি মতিউর রহমান।
তবে এ ব্যাপারে মো. মতিউর রহমান বলেন, জমির দলিল করার ব্যাপারে আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা ছিলো না। আমরা সরকারি নিয়ম মেনে দলিল সম্পাদন করেছি। সেখানে কোন অনৈতিক পন্থা গ্রহন করা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।