কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কারার সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিকলী থানায় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে নিকলীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের বধির্ত সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৭জুলাই) দুপুরে জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম কাম কমিনিউটি সেন্টারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি গোলামুর রহমান গোলাপের সভাপতিত্বে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কৃষক লীগ,সেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মি সভায় অংশ নেয়। এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কৃষক লীগের আহ্বায়ক সাইদুর রহমান, শ্্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক সেচ্ছাসেবক লীগের আহব্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান রিয়াজুল হক আয়াজ, জারইতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার ম্যান কামরুল ইসলাম মানিক, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কারার শাহরিয়া আহম্মেদ তুলিপ ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা।
বর্ধিত সভায় বক্তারা বলেন, গত রোববার (২৬জুলাই) সকালে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান মো.রুহুল কুদ্দুস ভ’ইয়ার(৩৩) উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই দিন সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাদী হয়ে নিকলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি করা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কারার সাইফুল ইসলাম ও ২ নম্বর আসামি করা হয় নিকলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কারার শাহরিয়া আহম্মেদ তুলিপকে। নিকলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কারার সাইফুল ইসলামের ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কারার শাহরিয়া আহম্মেদ তুলিপের বিরুদ্ধে নিকলী থানায় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার দায়ের করায় প্রতিবাদ জানানো হয়। বক্তারা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী জানান। তা না হলে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
এ দিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান মো.রুহুল কুদ্দুস ভ’ইয়ার(৩৩) উপর হামলাকারী কামরুল ইসলামের মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আহসান মো.রুহুল কুদ্দুস ভ’ইয়ার পক্ষে আমি নির্বাচন করি। এ সুবাদে চেয়ারম্যান হওয়ার পর আমাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মালী পদে চাকুরী দিবে বলে ৪ লাখ টাকায় চুক্তি করেন।পরে আমি নগদ দুই লাখ টাকা চেয়ারম্যানকে দেয়। কিছু দিন পর ওই মালীর পদে অন্য এক ব্যক্তি নিয়োগ পান। চাকুরি কথা বলে নগদ নেওয়া দুই লাখ ফেরত দিতে বললে চেয়ারম্যান টাকা ফেরত না দিয়ে বলে। আবার যদি টাকা কথা বলিস তবে তোকে পরিষদের সরকারি গাড়ি ভেঙ্গে থানায় মামলা দিবো।
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কারার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল ঘৃন্য ষড়যন্ত্রের খেলায় মেতে উঠেছে। তিনি এর জোর প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, আমি বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে ছিলাম। পরে ঘটনা শুনেছি। মূলত আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই মহলটি এসব অভিযোগ করছে তিনি জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান চাকরি দেওয়ার নাম করে কামরুল নামে এক যুবকের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিয়েছিলেন। পরে তাঁকে আর চাকরি দেয়নি। সেই কামরুল লোকজন নিয়ে তাকে আটকায়। ওই সময় সেখানে হাঙ্গামা হয়।