পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৮ কিলোমিটার ক্যানেল। ভোলাহাট উপজেলার মহানন্দা নদী হয়ে বৃহত্তর বজরাটেক, ঝাউবোনা, হলিদাগাছি, উপজেলা পরিষদ দক্ষিণ গেট, ইমামনগরবাজার হয়ে বীরশ্বরপুর, সুরানপুর দিয়ে বিলভাতিয়া চলে গেছে এ ক্যানেল। ক্যানেলটি ভোলাহাট উপজেলার গোহালবাড়ী ও ভোলাহাট সদর ইউনিয়নের আওতায়। ক্যানেলটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ কিলোমিটার ও প্রস্থ্য ২৪ ফিট বলে সচেতনমহল দাবী করছেন। তবে প্রকৃত তথ্য উপজেলার কোন দপ্তর দিতে পারেনি। এ ক্যানেলটি দিয়ে উপজেলার দু’ইউনিয়নের পায়ঃনিষ্কাশনের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। দু’ইউনিয়নের পানি এ ক্যানেলটি দিয়ে বিলভাতিয়ায় চলে যেত। কিন্তু ১০ বছর পূর্ব থেকে ইমামনগর বাজার হতে সুরানপুর গ্রামের কিছু প্রভাবশালি রাজনীতিক, অর্থশালীরা ক্যানেলটি দখলে নিয়ে পয়ঃনিষ্কাশন বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে রাস্তায় জলাবদ্ধার সৃষ্টি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানান গেছে, বীরশ্বরপুর মাদরাসার পাশে ক্যানেলের সম্পন্ন অংশে মাটি ভরাট করে ধর্মী অনুষ্ঠান পরিচালনা করে। স্থানীয়রা জানান, মাদরাসা ক্যানেলটি ভরাট করে দখলে নিলে বাঁকী জায়গাগুলো স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব ও বাড়ী তৈরী করে ক্যানালটি ভড়াট করে দেয়। এদিকে পারাপারের জন্য প্রভাবশালীরা মাটি দিয়ে রাস্তা তৈরী করে দখল করে নিয়েছেন। স্থানীয়রা আরো জানান, অনেক প্রভাবশালীরা বাড়ী তৈরী করে বেশী দামে অন্যের কাছে বিক্রয় করে দিয়েছেন।
এখন ২৪ ফিট প্রস্থ্য ও ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সরকারী এ ক্যানেলটি দখলদারদের দখলে চলে যাওয়ায় ক্যানেলের পাশ দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে রাস্তাটিতে চলাচলে করতে এলাকাবাসী চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এলাকাবাসী ইদরিস আলী, রফিকুল ইসলাম, মাসুদ্দিসহ ভুক্তভুগী এলাকাবাসীরা জানান, ক্যানেলটি দখলদারদের কাছ থেকে দখল মুক্ত করে দ্রুত পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করলে ভোলাহাট উপজেলার বীরশ্বরপুর, সুরানপুরসহ উপজেলার অর্ধেক অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা সংশ্লিষ্ট গোহালাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদের জানান, প্রভাবশালীরা দখল করায় ক্যানেলটি বন্ধ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, অবৈধ্য দখলদারদের দখল মুক্ত করার জন্য বেশ কয়েক দফা নোটিশ প্রদান করা হয়। বেশ কিছু দিন পূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ক্যানেলটি সরজমিন প্ররিদর্শন করেন এবং সার্ভেয়ার দিয়ে মাফযোক করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাজেরকাজ কিছুই করা হয়নি। ভাইস চেয়ারম্যান গরিবুল্লাহ দবির এলাকাবাসীর চরম দূর্ভোগের কথা তুলে ধরেন এবং দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সরকারী ক্যালেন দখল মুক্ত করে সংস্কার করার দাবী জানান। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক রাব্বুল হোসেন বলেন, ক্যালেনটি উদ্ধার প্রক্রিয়া চলছে। এ ক্যানেলটি ভোলাহাটের জন্য আর্শীবাদ। ক্যানেলটি সংস্কার হলে যেমন জলাবদ্ধতা দূর হবে তেমনি ভূর্গস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে মহানন্দা নদীর পানি তুলে বিশাল বিলভাতিয়ায় সেচ কাজে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে বলে জানান।