সিরাজদিখানে বন্যায় দূর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ। কাঁচা-পাকা রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে সব ক’টি ইউনিয়নে কোন না কোন রাস্তার কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলজিইডি’র রাস্তা, এর পরের স্থানে রয়েছে জেলা পরিষদের রাস্তা। সব মিলিয়ে এ উপজেলায় প্রায় ৪০ কি. মি. রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমান প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৭০ লাখ টাকা।
এ উপজেলায় এলজিইডি’র রাস্তা রয়েছে ৬৮ কি.মি. এর মধ্যে এ পর্যন্ত বন্যার পানিতে তলিয়ে ও ভেঙে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ২১ কি. মি.। এ ছাড়া এলজি ইডি’র ১৩ টি রাস্তার কাজ চলমান আছে, সেগুলো এখন পানিতে তলিয়েগেছে, আবার কোথাও রাস্তার পাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে। এলজিইডি’র সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৯ টি রাস্তা।
এ রাস্তা গুলো হচ্ছে কাজীশাল-হাজীগাও রাস্তা, রশুনীয়া ইইনয়ন পরিষদ থেকে বাজার, বাশাইল থেকে ব্রোজের হাটি রাস্তা, মালখানগর-মালপদিয়া রাস্তা, বাসাইল থেকে পাথরঘাটা বাজার রাস্তা, মির্জাকান্দা-শুলপুর-মজিদপুর রাস্তা, বড়পাউলদিয়া-বাহের ঘাটা- ভুইরা বাজার রাস্তা, গোবরদী মসজিদ থেকে বয়রাগাদি ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত রাস্তা, বাহের ঘাঁটা বাজার থেকে বয়রাগাদি কালীবাড়ি রাস্তা, ইয়াপুরা থেকে মধ্যপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত রাস্তা। এ ছাড়া কুচিয়ামোড়া হাইওয়ে থেকে চিত্রকোট- শেখেরনগরের রাস্তা, কোলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিংপাড়া বাজারের রাস্তা, আনোয়ারা ফিলিং ষ্টেশন থেকে হাজি বাজার ও চর পানিয়া খেয়া ঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত। কংশপুরা মালিকান্দা, তালতলা বাজার থেকে ছোট পাউলদিয়া গাজী বাড়ি থেকে বয়রাগাদি উচ্চবিদ্যালয়ের রাস্তা,খাশসুর ও উল্টর পাউসারের রাস্তা, শাসনগাঁও থেকে বৌলতলি রাস্তা, কুচিয়ামোড়া স্কুল থেকে লতব্দি হয়ে সিরাজদিখান বাজারের রাস্তা অনেকাংশ পানির নীচে এবং ভেঙেছে। কুচিয়া মোড়া বাজার থেকে ইসলামপুর মাদরাসার রাস্তাটি বন্যা ও ভাঙনে খুবই ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এ রাস্তা গুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। সব মিলিয়ে এ উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষ বন্যার কারণে নানা দূর্ভোগে রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সোয়াইব বিন আজাদ বলেন, এ উপজেলায় ৬৭.৭৫ কি.মি. রাস্তা এলজিইডি’র। তার মধ্যে ২১ কি.মি. রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমান আপাতত ধারণা করা হচ্ছে প্রায় অর্ধকোটি। দুর্ঘটনা এড়াতে ভাঙ্গা রাস্তায় বালুর বস্তা ও কোথাও গাছের ডালা ও বাঁশ দিয়ে প্রাথমিক ভাবে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে। গর্ত ও বিপদজনক রাস্তায় লাল কাপড় টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে। পানি না কমা পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। সঠিক হিসাব তখনই করা যাবে।