দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের দৌলতদিয়ায় পদ্মার তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে। পাশাপাশি ফেরি ঘাট সংকটও যানবাহন পারাপার চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছিল।
এ পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) দৌলতদিয়া ঘাট পরিদর্শনে আসেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক। সে সময় তার দেয়া নির্দেশে দীর্ঘ চেষ্টায় ঘাট সমস্যা দূর করে বুধবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকে দৌলতদিয়া প্রান্তের চারটি ঘাটের চারটি ঘাট দিয়েই যানবাহন পারাপার শুরু হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ৩ ও ৬ নম্বর ঘাটের সড়কে এখন আর পানি নাই। কর্তৃপক্ষ দূর্ঘটনা রোধে সড়কের পাশ দিয়ে বালুর বস্তা ও খোয়া ফেলে তা চলাচলের উপযোগী করেছে।
এদিকে পদ্মার তীব্র স্রোতে বুধবারও ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় দীর্ঘ সময় সড়কে আটকে থাকতে হচ্ছে পরিবহন চালক ও যাত্রীদের। দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকাণ্ডখুলনা মহাসড়কের প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কে সিরিয়ালে রয়েছে শতাধিক যাত্রীবাহি বাস। তবে কোরবানির পশুবাহি কোন ট্রাককে দৌলতদিয়া প্রান্তে সিরিয়ালে থাকতে হচ্ছে না।
জানাগেছে, পদ্মার নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে দৌলতদিয়া প্রান্তের ৩ ও ৬ নম্বর ঘাটের সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এ ছাড়া ৪ ও ৫ নম্বর ঘাটের পন্টুনের পকেটের সমস্যায় থাকায় গত কয়েকদিন ফেরিতে যানবাহন ও যাত্রী উঠা নামায় ব্যাঘাত ঘটছিল। এ ছাড়া গত বছরের বর্ষায় বিলিন হয়ে যাওয়া ১ ও ২ নম্বর ঘাট আজ পর্যন্ত সচল করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এদিকে ঢাকামুখি কোরবানির পশুবাহি ট্রাক পারাপার এবং ঈদে ঘরমুখো যাত্রী, যানবাহান ও ঈদ পরবর্তী সময়ে কর্মস্থলগামী যাত্রীদের ভোগান্তি ছাড়া যাতায়াত নিশ্চিত করতে কাজ করছে জেলা প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনির সদস্যরা।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ্ রনি বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি ছাড়া চলাচল নিশ্চিত করতে সব সময় তারা কাজ করছেন। বর্তমান দৌলতদিয়ার প্রান্তের চারটি ঘাটের চারটিই সচল রয়েছে। প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না হলে এবার কোন সমস্যা হবে ঘরমুখো যাত্রীদের বাড়ী ফিরতে। এ ছাড়া বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট বড় ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।