জামালপুরে বন্যার পরিস্থিতি রূপ নিচ্ছে। যমুনা নদীর পানি কমলেও বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রের পানি। এতে বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। বন্যার পানির কারণে দুর্ভোগ বেড়েই চলছে বানভাসী মানুষের। এ দিকে প্রতিদিন বন্যার্তদের দূর্ভোগ কমাতে ত্রান বিতরন কাযক্রম অব্যাহত রেখেছেন জেলা প্রশাসন।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, গত বুধবার (২৯জুলাই) বিকাল ৫ টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৭১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও জামালপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, কয়েকদিন পানি কমলেও আবারো যমুনা নদীর পানি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
বন্যায় এখন পর্যন্ত জেলার দশ লক্ষ মানুষ ২৭দিন যাবত পানি বন্দি হয়ে আছে। যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্তিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলে বাড়ি ঘরে পানি থাকলেও অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।
বন্যা কবলিত এলাকা সরে জমিনে দেখা যায়, পানি বন্দি ও বাঁধে আশ্রয় নেয়া নিম্নআয়ের মানুষ খাবার সংকটে পড়েছে। তাদের অভিযোগ পানি বন্দি এবং বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কর্মহীন অবস্থায় এক মাস অতিবাহিত করলেও মাত্র ৮/১০ কেজি চাল ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে তারা। আবার অনেক পরিবারের ভাগ্যে কিছুই জুটেনি। এসব পরিবারকে এক বেলা খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।
এছাড়া বাঁধ, ব্রীজ, কালভার্ট ও উঁচু সড়কে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলো খাবার সংকটের পাশাপাশি গরুর খাবার ও মলমুত্র ত্যাগে চরম সংকটে রয়েছে।
জামালপুর ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: নায়েব আলী জানান, বন্যার্তদের মাঝে নিয়মিতভাবে ত্রান বিতরন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ত্রানের যোগ্য সকলকে ত্রান দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।