বগুড়ার শেরপুরের খানপুর ইউনিয়নে মাতৃত্বকালীন, প্রতিবন্ধি, বয়স্ক ও বিধবা ভাতার কার্ড বিতরণের সময় প্রায় ৩’শ সুবিধাভোগির কাছ থেকে ১ হাজার করে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাঞ্জুর বিরুদ্ধে। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সচেতন মহলের মধ্যে।
খানপুর ইউনিয়নের আশ্রম খাগা গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধি শিল্পী, ভীমজানি গ্রামের বাক প্রতিবন্ধি রেনুর বাবা আবদুর রাজ্জাক, প্রতিবন্ধি মজিবর রহমান ও ভান্ডার কাফুড়া গ্রামের বয়স্ক ভাতা প্রাপ্ত স্বপন কুমার রায় বলেন, ওই ভাতার বই বিতরণের সময় মসজিদ নির্মাণ ও ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাঞ্জু ১ হাজার ১০ টাকা করে উত্তোলন করেছেন। চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এই টাকা উত্তোলনে সহযোগিতা করেছেন ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান ও নুরুল ইসলাম। এই ঘটনা এদিক-সেদিক জানাজানি হলে সচেতন মহলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা বলছে ইউনিয়ন পরিষদের মসজিদ নির্মানের জন্য অসহায় ব্যাক্তিদের কাছ থেকে টাকা নিতে হবে কেন? এটাতো ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি ফান্ড থেকেই হওয়ার কথা।
এ ব্যাপারে খানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাঞ্জু বলেন, এটা সঠিক নয়। আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য কেউ আপনাদের ভুল তথ্য দিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, আমিও বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।