ঈদে ঘরমুখী মানুষের উপচেপড়া ভির দেখা গেছে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌ-রুটে। ফেরি ঘাট ও লঞ্চ ঘাটে উপচেপড়া ভিরের মধ্যে গাদাগাদি করে ঈদ করতে জনসাধারনকে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
এসময় তাদের মধ্যে কোন ধরনের সামাজিক দুরত্ব মানার লক্ষন দেখা যায়নি। এদিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি ঘাট ও ফেরি সংকট রয়েছে। সেই সাথে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রােতের কারণে প্রতিদিনই ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে চরম ভাবে।
তীব্র স্রােত থাকায় এ নৌ-রুটের ফেরি ঘাট গুলোতে ফেরি ভিরতে সময় লাগছে আগের চাইতে দ্বিগুনেরও বেশি। যে কারণে দৌলতদিয়া মহাসড়কে প্রতিদিইন ঘন্টার পর ঘন্টা শতশত যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় যানজটে থাকতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পরছেন এ রুটে চলাচল করা যাবাহন চালক ও যাত্রীরা।
আগে যেখানে দুর্ভোগ কমাতে ১৯ থেকে ২০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হত বর্তমানে সেখানে মাত্র ১৪টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে যে কারণে ফেরি সংকটেও যানজট তৈরী হচ্ছে।
গত বছর ১ ও ২ নং ফেরি ঘাট নদী গর্ভে রিলিন হলেও আজও তা চালু করতে পারেনি ঘাট কতৃপক্ষ এরইমধ্যে পানিবৃদ্ধিতে ৩ নং ফেরি ঘাট বন্ধ হয়েছে। ৬ নং ফেরি ঘাটে রোরো ফেরি ভিরতে না পারায় এ নৌরুটে যানবাহন পারাপার সমস্যা আরো বাড়ছে যে কারণে শতশত যানবাহন ফেরি পারাপার চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রােত সহ ঘাট সংকট ও ফেরি সংকটের কারণে ফেরি পারাপার ব্যাহত হওয়ায় মহাসড়কে কয়েকশত যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় যানজটে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় ব্যাক্তিগত প্রাইভেটকার ,যাত্রীবাহী বাস, পন্যবাহী ট্রাক, ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় যানজটে।
দৌলতদিয়া বিআইডব্লিউটিসি ঘাট ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, দৌলতদিয়া গেজ ষ্টেশন পয়েন্টে বিপদ সিমার উপরদিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে তীব্র স্রােত ও ঘুর্ণনের ফলে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ঈদে ঘরমুখী যাত্রীরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে তীব্র স্রােতের কারণে আগের চাইতে ফেরি ঘাটে ভিরতে সময় লাগছে দ্বিগুনেরও বেশি যে কারণে যাত্রী ও চালকদেও ফেরি পার হতে একটু সমস্যা হচ্ছে। এদিকে রয়েছে ফেরি ঘাটের সংকট ও এবং ফেরি কম চলার কারণে যানবাহন পার হতে কয়েকশত যানবাহন মহাসড়কে যানজট রয়েছে দৌলতদিয়া প্রান্তে। যানবাহন পারাপারে বর্তমানে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। বর্তমানে দৌলতদিয়ায় ৪টি ফেরি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে।