কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, কুলিয়ারচরসহ জেলার ৫০টি গরুর বাজারে করোনাভাইরাসের কোন সামাজিক দূরত্ব নেই। কোণঠাসাভাবে গরুর বাজারগুলি পরিচালিত হচ্ছে। মাইকিং করা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। বাস্তব চিত্র তার উল্টো। বুধবার নিকলী সদর, নিকলী সাজনপুর বাজারের স্কুল মাঠে, বাজিতপুর পৌর বাজারে সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, গরুর বাজারে নেই সামাজিক দূরত্ব, মেডিকেল ট্রিম নামে মাত্র ও কোন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়নি। বর্তমানে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। যদিও সাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন স্কুল মাঠে গরুর বাজার ইজারা নেওয়া হয়নি তথাপি ইজারাদাররা প্রশাসনের তুয়াক্কা না করে স্কুল মাঠ পর্যন্ত গরুর বাজার বসিয়েছে। গরু বাজারগুলোতে সরকারি নীতিমালা মানা হচ্ছে না। আইন শ্ঙ্খৃলা বাহিনী থাকলেও তাদেরকেও তুয়াক্কা করা হচ্ছে না। জানা যায়, গত কয়েকটি হাটের তুলনায় গরুর দাম আগের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। গত হাটে যে গরু ৪০০০০ হাজার টাকায় গরু বিক্রি হয়েছে সেই গরু এখন ৫০,০০০ থেকে ৫৫,০০০ হাজার টাকার বেশী দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে লক্ষাধিক টাকার গরুর দাম তুলনামূলকহারে একটু কম। অন্যদিকে প্রতি ছাগল ২০,০০০ হাজার থেকে ২৫,০০০ হাজার টাকা, মহিষ বিক্রি হচ্ছে ৭০,০০০ হাজার থেকে ১,০০,০০০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। সাজনপুর বাজারের ইজারাদার সভাপতি মরছব আলী, শাহীন মিয়া,আলম মিয়া জানান, করোনাভাইরাসের কারণে এ বৎসর তাদের ঈদের বাজার হলেও কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হবে। নিকলী উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের ভি.এস ডাঃ মোঃ মবিন হাই বলেন, মাস্ক ব্যবহারের জন্য সবাইকে বলা হচ্ছে। কিন্তু কয় জনে তা মানছে। নিকলী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার মোঃ রফিকুল ইসলামকে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।