বগুড়ার আদমদীঘিতে মীম থাতুন (২১) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামীর বিরুদ্ধে মীম কে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ এনেছে তার পরিবারের লোকজন। গত বুধবার রাতে আদমদীঘি উপজেলার সদরের গো-হাটি এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে বগুড়া মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গৃহবধূর স্বামী ফজলে রাব্বী কে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে সান্তাহার পৌর শহরের পৌঁওতা গ্রামের মোসলেম উদ্দীনের মেয়ে মীম খাতুনের সাথে দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের তানসের আলীর ছেলে ফজলে রাব্বীর বিয়ে হয়। তাঁরা উপজেলা সদরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। সম্প্রতি স্বামীর পরকিয়া রয়েছে এমন সন্দেহে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কলহের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হলে ফজলে রাব্বী প্রায় স্ত্রীর ওপর নির্যাতন করতো। এ ঘটনা নিয়ে বুধবার সন্ধায় উভয় পরিবারের মধ্যে বৈঠক হয়। পরে রাত তিনটার দিকে ফজলে রাব্বী বাড়ির মালিক দেলোয়ার হোসেন কে জানায় তার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। দেলোয়ার হোসেন তাৎক্ষনিক বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে খাটের ওপর মীম খাতুনের লাশ দেখতে পায়। পরে সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মীম খাতুনের বাবা মোসলেম উদ্দীনের অভিযোগ তাঁর মেয়ে কে হত্যা করে জামাই লাশ ঝুলিয়ে রেখেছিল। তিনি এই হত্যা কান্ডে বিচার দাবী করেন।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ ওসি জালাল উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।