বগুড়ার সান্তাহারে পুর্ব ঘটনার জেরে, নামের মিলে খুন হল সিহাব হোসেন (১৭) নামের নিরপরাধ এক মেধাবী ছাত্র। ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন রবিবার রাতে রক্তদহ বিলের বেইলী ব্রীজ এলাকায় এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে নিহতের দুই বন্ধু। নিহত সিহাব হোসেন সান্তাহার শহর সংলগ্ন দমদমা গ্রামে হারুনুর রশিদের ছেলে। সে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছে। জানা গেছে, ঈদের দিন বিকেলে দমদমা গ্রামের উত্তরপাড়ার সোহাগ হোসেনের ছেলে শিহাব তার কয়েক বন্ধু নিয়ে ওই বেইলি ব্রিজ এলাকায় আড্ডা দিতে যায়। এ সময় সেখানে শিহাব গ্রুপের সাথে পাশের করজবাড়ি গ্রামের এখলাস হোসেনের ছোট ছেলে শিপন গ্রুপের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বদলা নিতে ফুঁসে উঠে শিপনের বড় ভাই শিপলু। পর দিন সন্ধা রাতে দমদমা পুর্ব পাড়ার হারুনুর রশিদের ছেলে সদ্য মাধ্যমিক পাস করা সিহাব তার দুই বন্ধু প্রহর (১৫) ও জাকির হোসেন (১৭)কে নিয়ে ওই বেইলি ব্রীজ এলাকায় বেড়াতে যায়। এসময় সেখানে অবস্থান করা করজবাড়ি গ্রামের এখলাস হোসেনের বড় ছেলে শিপলু হোসেন, সিহাব হোসেনের নিকট এসে নাম জিজ্ঞাসা করে। সিহাব সরল বিশ্বাসে তার নাম বলা মাত্রই শিপলু সিহাবের উপর হামলা চালিয়ে প্রথমে ছুরিকাঘাত করে পরে তাঁর গলা কেটে দেয়। এর পর সিহাবের বন্ধু প্রহর ও জাকিরকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সিহাবসহ তিনজনকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা শুরুরর পুর্বেই সিহাব মারা যায়। সিহাবের মৃত্যু সংবাদ গ্রামে পৌঁছলে শোকের ছায়া নেমে আসার পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষের উত্তেজনা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহত সিহাবের বাবা হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে ৮ নাম উল্লেখ এবং ৫ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দীন বলেন, এই খুনের সাথে জড়িতরা ঘটনার পরই পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে গ্রেফতারের জোর তৎপরতা চলছে। বর্তমানে সান্তাহার-করজবাড়ি সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘটনা পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।