নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া আছিরা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতিকে মিয়া মোহাম্মদ খলিলুর রহমানকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ থেকে টেনে হেসড়ে বের করে মাঠে নিয় এলোপাথাড়ী পিটিয়ে, কিলঘুষি মেরে ও শ^াস রোধ করে হত্যার চেষ্টা, অফিস কক্ষ ভাংচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ ওঠেছে বিদ্যালয়ের সাবেক সদস্য একই এলাকার এমাম হোসেন মজুমদার (৪০) ও তার ভাই মিন্টু মজুমদার(৩৫) বিরুদ্ধে। এঘটনায় সেনবাঘ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামলার শিকার বিদ্যালয়ের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ খলিলুর রহমান জানান,গত ২৫ মার্চ বিদ্যালয়ে ম্যানিজিং কমিঠি মেয়াদ শেষে হলে তিনি নতুন করে সভাপতি নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে এমাম হোসেন মজুমদার প্রার্থী হতে না পারায় সে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এরপর থেকে সে তাকে মারধর করা সহ হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। তিনি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০দিকে বিদ্যালয়ের পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ে এসে অফিস কক্ষে বসে শিক্ষক সহ অন্যাণ্যদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এসময় অতর্কিতে এমাম হোসেন মজুমদার ও তার ভাই মিন্টু মজুমদার অফিস কক্ষে অধিকার প্রবেশ করে তাকে টেনে হেসড়ে বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ী পিটিয়ে ও কিলঘুষি মেরে আহত করে। যার এক পর্যায়ে এমাম তার গলায় দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে শ^াষ রোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায় এবং তার ভাই পায়জামার পকেটে থাকা একলক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় তার আত্মচিৎকারে শিক্ষক সহ এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে সেনবাগ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ ভাংচুর করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুটপাট করে ও রেজুলেশন খাতা সহ অন্যন্য কাগজপত্র ছিড়ে পেলে দেয়।
এব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার অফিষার ইনচার্জ(ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।