ভারুয়াখালীর চাঞ্চল্যকর বেলাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হককে কারাগারে পাঠানো হয়েেছ। ঈদগাঁও তদন্ত কেনদ্র পুলিশ ও চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা পুলিশের টহল দল যৌথভাবে তাকে চট্টগ্রাম নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। আটক ব্যক্তি ভারুয়াখালী ইউনিয়নের চান্দুর পাড়ার মৃত জ্বালা আহমদের পুত্র এবং নিহত বেলাল উদ্দিনের আপন চাচা। বেলাল একই গ্রামের ছৈয়দুল হকের পুত্র। পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জমি জমার বিরোধের জের ধরে গত বছরের রমজান মাসে আপন চাচা মাহমুদুল হকের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ভাইপো বেলাল উদ্দিন। তাদের দুইজনের বাড়ি কক্সবাজার সদর উপজেলাধীন ভারুয়াখালী ইউনিয়নের চান্দুর পাড়ায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই হায়দর বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়রে করেন। ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন আটক মাহমুদুল হকের সত্রী ফাতেমা, তার ভাগিনা পার্শববর্তী রশিদ নগর ইউনিয়নের পানির ছড়া এলাকার বর্তমান মেম্বার বজল, মাবুর আলম এবং আলম নূর। ইউনিয়নের আইডিয়াল কেজি স্কুলের সামনে সত্রীর সামনে বেলাল উদ্দিন কে ছুরিকাঘাত করা হয়। নিহত বেলাল উদ্দিন চার সন্তান-সন্ততির জনক। তিনি তিন ভাই, চার বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। বেলাল উদ্দিনের সত্রী মরিয়ম তার স্বামীর হত্যাকারী মাহমুদুল হকের ফাঁসি দাবি করেছেন। আসামিদের মধ্যে একজন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন। অন্যরা পলাতক রয়েেছ। ঈদগাঁও তদন্ত কেনদ্র পুলিশের ইনচার্জ এসআই আসাদুজ্জামান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঈদগাঁও পুলিশের এসআই মোঃ ইমরান জানান, আটক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েেছ।