লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে মঙ্গলবার রাতে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে আনিস ও ফারুক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১১জন আহত হয়। গুরুতর আহত রিয়াদ হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল এবং ফারুক হোসেন,আঃ রহিম,মিঠু,নুরু,বাবু,বেলাল,রনি,জনি,পলাশ,হারুনকে প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফারুক গ্রুপের লোকজন আনিসের শ্বশুর হারুনের রান্না ঘরে অগ্নিসংযোগ করে।
সুত্রে জানায়,উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের মুন্সী বেপারী বাড়ির ফারুক হোসেনের সাথে পাশ্ববর্তি মসজিদ বাড়ির আনিস হোসেনের দীর্ঘদিন যাবত চলাচলের রাস্তা ও গ্রাম্য শালিস নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উভয়ের বাড়ির সামনে বাক-বিতন্ডের ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৭টার দিকে ফতেহপুর ব্রিজের গোড়া পুনরায় বাক-বিতন্ডের একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে।ফারুক হোসেন বলেন,আনিস হোসেনের লোকজন দীর্ঘ কয়েক মাস যাবত আমাদের অত্যাচার-নির্যাতন করায় আমি করপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের আদালতে একটি অভিযোগ করি। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে আনিস হোসেন ও তার লোকজন পুর্ব পরিকল্পি ভাবে আমার উপর হামলা চালায়। এতে আমার স্বজন রিয়াদ,রহিম,মিঠু,নুরু,বাবু আহত হয়। অভিযুক্ত আনিস বলেন,ফতেহপুর দিঘির পাড়ে প্রবাসীর স্ত্রীর অপ্রীতিকর ঘটনায় শালিসি বৈঠক হলে মিঠুকে ২০ হাজার টাকা না দেওয়ায় এবং ফারুক হোসেনের লোকজন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করায় আমি প্রতিবাদ করি। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে ফারুক-মিটু পরিকল্পিত ভাবে ফতেহপুর ব্রিজের গোড়া আমার উপর হামলা করে। এতে আমি ও আমার আত্মীয় বেলাল,জনি,রনি,হারুন,পলাশ আহত হয়। রাতে ফারুক লোকজন নিয়ে আমার বসতঘর ও পাশ্ববর্তি বাড়ির আমার শ্বশুরের বসতঘরে হামলা চালায় এবং শ্বশুর হারুনের রান্না ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। রামগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন,সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এ ব্যাপারে গুরুতর আহত রিয়াদ হোসেনের পিতা সাহাব আলী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।